তৃণমূলের ৩৮ জন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁদের মধ্যে ২১ জন মিঠুনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। বুধবার বিকেলে বঙ্গ বিজেপির সদর দফতরে মিঠুন চক্রবর্তীর এই দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। মিঠুনের এই দাবির বাস্তবভিত্তি কতটা? সেনিয়ে মুখ খুলতে চাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কার্যত দায় এড়িয়েছেন তিনি।
কী বলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী?
বুধবার উত্তরপাড়ায় শিল্পমঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'চব্বিশে বিজেপি আসবে না, আসবে না, আসবে না। কোন অঙ্ক, কেন, কী ভাবে তা জানি না।' এরপরই বিস্ফোরণ ঘটান মিঠুন। বলেন, '১৮টা (সাংসদ) আমাদের হাতে আছে। আরও চারটে হামাগুড়ি দিচ্ছে। আপনাদের একটা ব্রেকিং নিউজ দিই, এই মুহর্তে দাঁড়িয়ে বলছি, তৃণমূলের ৩৮ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে ভাল সম্পর্কে আছে। তাঁর মধ্যে ২১ জন আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।'
কী বলেছেন শুভেন্দু?
এ দিন ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের দুর্নীতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর জন্য রাজ্যপাল যাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেন তারও দরবার করেন শুভেন্দু।
সেইসময়ই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় মিঠুনের দাবি প্রসঙ্গটি। শুভেন্দু
বলেন, 'উনি বলেছেন, উনি দায় নেবেন।' কেন মিঠুনের দাবি এড়িয়ে গেলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক? এ নিয়েই জল্পনা চলছে। তৃণমূলের টিপ্পনি, বঙ্গ বিজেপির নিজেদের মধ্যেই কলহ রয়েছে। মিঠুন চক্রবর্তীর প্রলাপ বকেছেন। শুভেন্দুর জবাব থেকেই তা স্পষ্ট।