বিধানসভার সৌজন্য-পর্ব অতীত। বরং শুক্রবারের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণের ঝাঁঝ যেন আরও বাড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যে তৃণমূলের সরকার তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার ঝুলি এবার বই আকারে প্রকাশ করতে চলেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। সেই বই রাষ্ট্রপতি, উপ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
গত শুক্রবার সৌজন্যের রাজনীতির টুকরো ছবি দেখেছিল রাজ্য বিধানসভা। বিরোধী দলনেতা হিসেবে এই প্রথম শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেদিন প্রণাম করেছিলেন শুভেন্দু। এমনকী ওই দিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দুকে স্নেহ করতেন বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেদিনের সেই সৌজন্যের তাল কাটতেও বেশি সময় লাগেনি।
মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাৎ নিয়ে চর্চা বাড়তেই ফের চেনা ছন্দে বিরোধী দলনেতা। নতুন করে আরও তীব্র ভাষায় তিনি আক্রমণ করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। একুশের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বহু মামলা দায়ের হয়েছে। বিরোধী দলনেতার দাবি সব অভিযোগই মিথ্যা। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা বই আকারে প্রকাশ করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে সেই বই পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি নেতা। এমনকী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও সেই বই পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- বঙ্গে বিজেপির ডিসেম্বর বিপ্লবের আগেই মমতার কৌশলী চাল, উস্কে উঠছে ‘সম্ভাবনার শিল্প’ জল্পনা
এপ্রসঙ্গে এদিন শুভেন্দু বলেন, ''এখনও পর্যন্ত মমতা ব্যানার্জি আমাকে দেড় বছরে উপহার দিয়েছেন ৩৪টা মিথ্যা মামলা। সব মামলা হয়েছে ৫ মে ২০২১-এর পরে। আমি আগামী মঙ্গলবার আমার উপরে দেওয়া মামলা পুস্তক আকারে ইংরেজি, হিন্দি ও বাংলায প্রকাশ করব। আগামী বুধবার রাষ্ট্রপতি-সহ গোটা ভারতবর্ষের মুখ্যমন্ত্রীদের পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলনেতার উপরে সরকারি আগ্রাসন নিয়ে তৈরি ব্রোশিওর পাঠাব। এটা অন্য রাজ্যর মানুষেরও জানা উচিত।''
আরও পড়ুন- কেষ্টহীন বীরভূমে পঞ্চায়েতের লড়াই, বিরাট ছক সাজিয়ে মাঠে নামছে জোড়াফুল
এদিকে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই সেই বই দিল্লির দরবারেও পৌঁছে দেবেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুনছি ৫ তারিখে দিল্লি যাবেন। উনি পৌঁছনোর আগে রাষ্ট্রপতি, উপ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও জানা দরকার যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে কীভাবে উত্তর কোরিয়ার শাসকের মতো চালাচ্ছেন, সেটা জানা দরকার।''