আবারও বিরোধী দলনেতার নিশানায় তৃণমূলের যুবরাজ। তবে এবার অভিষেককে বিঁধতে গিয়ে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বারবার ডায়মন্ড হারবারেই কেন রিভিউ মিটিং? প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবকে তুলোধনা বিরেধী দলনেতার। ২ সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়ে জনস্বার্থ মামলা করার হুঁশিয়ারি নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের।
উল্লেখ্য, শনিবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রিভিউ মিটিং হয়েছে। জেলাশাসকের ডাকা সেই বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই বৈঠক নিয়েই ঘোরতর আপত্তি তুললেন বিরোধী দলনেতা। বেছে-বেছে বারবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রেই কেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পর্যালোচনা বৈঠক হবে? প্রশ্ন তুলে মামলার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়ে রাখলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা।
পরপর টুইটে এদিন মুখ্যসচিবকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, 'মুখ্যসচিবকে বলেছি আপনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে বলুন, জয়নগর, মথুরাপুরের ও যাদবপুরের সাংসদরা বা নাগরিকরা কেন বঞ্চিত হবেন? দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আরও ৩টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলিকে কেন অবহেলা? ২ সপ্তাহ সময় দিলাম। তারপর জনস্বার্থ মামলা করব। আদালতে জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন।'
আরও পড়ুন- জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে ‘মারাত্মক’ অভিযোগ! এখনই ‘ব্যবস্থা’র দাবি তৃণমূলেরই নেতার
অভিষেকের পর্যালোচনা বৈঠককে নিশানা করে বিরোধী দলনেতা টুইটে আরও লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আছে না স্বৈরতন্ত্র? গত ৪ বছরে রাজ্যে সাংসদদের সভাপতিত্বে একটিও বৈঠক হয়নি। আশা করব বাকি ৪১টি সংসদীয় এলাকাতেও বৈঠক হবে।'
আরও পড়ুন- টানা বাতিল একাধিক লোকাল-এক্সপ্রেস ট্রেন, কোন কোন শাখায় কোপ?
এদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর এই টুইটের প্রবল সমালোচনায় সরব তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন এদিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'অভিষেকের সংসদীয় এলাকায় উনি যা করেছেন সেটা সারা দেশের জন্য রোল মডেল হওয়া উচিত। বিজেপির সাংসদদের তো মানুষ দূরবীন দিয়েও খুঁজে পায় না। শুধু ভোটের সময় ভোটপাখির মতো ওরা ভোট করতে আসে। মানুষ বিপদে পড়লে ওঁদের দেখতে পাওয়া যায় না। বিজেপির সংস্কৃতি সারা বছর সংকীর্ণ রাজনীতি করা। তৃণমূলের সংস্কৃতি হল, ভোটের সময় রাজনীতি আর সারা বছর সমাজনীতি।'