যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুতে তোলপাড় বাংলা। রাজ্যের 'এলিট' বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনে ছেলে-কে খুন করা হয়েছে বলে দাবি মৃত পড়ুয়ার বাবার। তাঁর নিশানায় মূলত হস্টেলের প্রাক্তনীরা। তদন্তে নেমে বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে পুলিশ সৌরভ চৌধুরি নামে যাদবপুরেরই এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের নজরে আরও বেশ কয়েকজন রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট মৃত ছাত্রের বাবা। এসবের মধ্যেই শনিবার সংবাদ মাধ্যমে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তাঁর বাবা।
কী বললেন বাবা?
ছাত্রের বাবা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, 'সৌরভকে ধরা হয়েছে শুনে আমি খুব খুশি। আমি বিভিন্ন সোর্স থেকে খবর পাচ্ছি যে ওরা বাইরে থেকে বিভিন্ন লোকেদের ডেকে নিয়ে যায় এই ছেলেদের ধর্ষণ করার জন্য। এদের উপর শারীরিক অত্যাচার চালান হয়। আমার জীবনে কষ্ট-দুঃখ কিছুতেই কমবে না। এদের ধরা হলে, কিছুটা লাঘব হবে। এই অভিযুক্তদের শাস্তি হওয়া জরুরি।'
কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলছিলেন, 'আমি চাই খুনীরা উপযুক্ত শাস্তি পাক। ফাঁসি হোক। যাতে দ্বিতীয় কোনও ছাত্রের স্বপ্ন না ভেঙে যায়। আর কোনও বাবা যেন এত আর্তনাদ না করে। ছেলে হারানোর আর্তনাদ কী আমি জানি। আমাদের হিরের টুকরো হারিয়ে গেছে।'
শনিবার ধৃত সৌরভ রায়চৌধুরীকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। শুক্রবার বেলায় তাঁর বাবা বলেছিলেন, 'বাংলা নিয়ে পড়তে চেয়েছিল ছেলে। বলেছিলেন যাদবপুরে পড়লে স্যারদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারব। হোস্টেলে গিয়েই কালপ্রিটদের সঙ্গে দেখা হল। সৌরভ মাদকাসক্ত। বাচ্চাগুলোকে নিয়ে নয়ছয় করে। আমার ছেলেটার মৃতদেহ ওরা উলঙ্গ করে ছুঁড়ে ফেলেছে। মেরে খুন করে উলঙ্গ করে ফেলেছে। ১৫-২০ মিনিট ওখানে পড়েছিল। ওখানেই বোধহয় মারা যায়। পরে কেউ হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি করে। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। শিক্ষা লাভ করতে গিয়ে আর কেউ যেন কফিনবন্দি হয়ে না আসে।'