গুরুতর অসুস্থ রোগী, ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের তরফে এসএসকেএম-এ রেফার করা হয়েছে। যা শুনেই মাথায় হাত রোগীর পরিজনদের। বিশাল আর্থিক ধাক্কা, নেই স্বাস্থ্যসাথীও। উপায় না দেখে বৈদ্যবাটীর সবিতা দাসের পরিবার বৈদ্যবাদী পুরভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরকে সবটা খুলে বলেন। এরপরই সমস্যার সমাধান হয়। অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে থাকা রোগীকে স্বাস্থ্যসাথী শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। হাতেনাতে মেলে সবিতাদেবীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।
বৈদ্যবাটী পুরসভার বাসিন্দা মধ্য চল্লিশের সবিতা দাসের ব্রেন স্ট্রোক হয়। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। কিন্তু, মঙ্গলবার দুপুরে সবিতার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
কিন্তু সবিতাদেবীর পরিবারের কলকাতায় গিয়ে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সক্ষমতা নেই, ছিল না স্বাস্থ্য সাথী কার্ডও। চিন্তা বাড়ে সবিতার স্বামী শম্ভু দাসের। শেষ পর্যন্ত তিনি বৈদ্যবাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর বিশ্বজিৎ রায়ের সঙ্গে কথা বলেন। আর্জি জানান, যাতে অন্ত স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটি পাওয়া যায়।
সব শুনে তখনই বৈদ্যবাটি বিবেকান্দ হাইস্কুলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের শিবিরে রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে চলে আসার নির্দেশ দেন বিশ্বজিৎবাবু। এরপরই সবিতাদেবীর পরিবারের সদস্যরা রোগীকে নিয়ে কলকাতায় যাওয়ার পথে বিবেকানন্দ স্কুলে পৌঁছে যান। পুরকর্মীরা অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর রোগীর বায়োমেট্রিক করান, ছবি তোলেন এবং তার পর হাতে হাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দেন। স্বস্তিতে সবিতার স্বামী শম্ভূবাবু। তাঁর কথায়, 'চিকিৎসার টাকা কীভাবে পাব তা নিয়ে চিন্তার ছিলাম। কিন্তু পুরসভার পক্ষ থেকে এত দ্রুত কার্ড করিয়ে দেওয়ায় খুব সুবিধা হল। আমার ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।'
শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সবিতা দালকে নিয়ে এসএসকেএম-এর উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন