নারদা-কাণ্ডে অভিযুক্ত। কারাবাস করেছেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এবার ফের কাজে যোগ দিতে চলেছেন আইপিএস সৈয়দ মহম্মদ হুসেন মির্জা (এসএমএইচ মির্জা)। আদালতের নির্দেশে তিনি চাকরি ফিরে পান মাসখানেক আগেই। নির্দেশমতো তাঁর নিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। সূত্রের খবর, এবার তিনি কাজে যোগ দেবেন। তিনি এসপি পদমর্যাদায় অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের এই প্রাক্তন পুলিশ সুপারের যাবতীয় বকেয়া অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশও দিয়েছে।
নারদায় প্রকাশিত ভিডিও-য় তাঁর নাম উঠে এসেছে অন্যতম অভিযুক্ত মুকুল রায়ের মুখে। পাশাপাশি, তাঁকেও নারদায় দেখা গিয়েছে। ঘুষের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন তাঁর মাধ্যমেই হয়, এমন একটা ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করেছে নারদা ভিডিওর প্রকাশিত ওই ফুটেজ। তারপর কেটে গেছে দীর্ঘ আইনি লড়াই। পুলিশকর্তা, রাজ্যে পুলিশ-প্রশাসনের অন্যতম খুঁটি- থেকে অভিযুক্ত আসামির মত শ্রীঘরে বসবাস। সেসব পেরিয়ে ফের সৈয়দ মহম্মদ হুসেন মির্জা আবার পুলিশের চাকরিতে পুনর্বহাল।
তবে, নারদা-কাণ্ডের জেরে নয়। সূত্রের খবর, মির্জার চাকরি গিয়েছিল ব্যারাকপুরের এক সাব ইনস্পেক্টরের আত্মহত্যার সুবাদে। মৃত পুলিশ আধিকারিকের পরিবারের দায়ের করা অভিযুক্তের তালিকায় মির্জার নাম ছিল। তার জেরেই খোয়াতে হয়েছিল সরকারি আধিকারিক পদে নিয়োগ। তবে, তাতে হাল ছাড়েননি এই পুলিশকর্তা। পালটা আইনি লড়াইয়ে নেমেছিলেন। অবশেষে সুফল পেলেন রাজ্য সরকারের শীর্ষস্তরের অতিঘনিষ্ঠ এই পুলিশ আধিকারিক। বৃহস্পতিবার তাঁর নিয়োগ নিয়ে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য পুলিশের কর্মীবর্গ বিভাগ।
আরও পড়ুন- দুর্দিন কাটিয়ে চিৎপুর যাত্রাপাড়ায় রথের দিনে লক্ষ্মী এলো
মাস দেড়েক আগেই তাঁর নিয়োগ হলেও এতদিন পর্যন্ত মির্জাকে কোনও পদে নিযুক্ত করেনি নবান্ন। পরবর্তীতে তাঁর পদ ঠিক হলেও রাজ্যপালের ছাড়পত্র পাওয়া বাকি ছিল। এবার সেই ছাড়পত্রও মিলে যাওয়ায় পুনরায় নিয়োগের যাবতীয় বাধা কেটে যায় ২০০৪ ব্যাচের এই আইপিএসের। সূত্রের খবর তাঁকে আপাতত ভবানী ভবনে, রাজ্য পুলিশের সদর দফতরে নিয়োগ করা হয়েছে।