শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার কথা হয়। অকপটে এই দাবি করেছেন সাংসদ। মূলত শহরের উন্নয়ন নিয়েই তাঁদের কথা হয় বলে জানিয়েছেন রাজু। কালীপুজোর দিন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়েছিলেন সাংসদ। ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ-ও।সেখানেই বসেই বর্তমান মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গে তাঁর কথপোকথনের কথা বলেছেন রাজু বিস্তা।
সোমবার অশোক ভট্টাচার্যের বাড়ি গিয়েছিলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ। কেন? রাজু বিস্তের কথায়, 'অশোকবাবু এক সময় মন্ত্রী, বিধায়ক, মেয়র ছিলেন। শিলিগুড়ি শহরের তাঁর নিষ্ঠাপূর্ণ কাজের কথা সবাই জানেন। ওঁকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। এছাড়া, গত বছর ওঁর স্ত্রীবিয়োগ ঘটেছিল। ৩০ অক্টোবর তার বাৎসরিক অনুষ্ঠান। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে আমি থাকতে পারছি না। সেটাও ওনাকে জানালাম।'
এই সাক্ষাৎ কী শুধুই সৌজন্যের? জবাবে রাজুর দাবি, 'উনি অভিভাবকের মতো। অশোকদার সঙ্গে দেখা হলেই, রাজ্য ও শিলিগুড়ি নিয়ে অনেক কিছু জেনেছি। ওনার যত অভিজ্ঞতা, আমার বয়সই তত নয়। অনেক কিছু শেখা যায়।'
অশোক ভট্টাচার্য বলেন, 'রাজনীতির সঙ্গে অর্থনীতিটাও নজরে রাখা প্রয়োজন। আগে ওরা এ সব নিয়ে পড়াশোনা করত। কিন্তি এখন তো দেশের অর্থনীতি খারাপের পথে যাচ্ছে। তৃণমূলও রাজ্যে কিছু দেখছে না। বাংলার তথা শিলিগুড়ির অর্থনীতিও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেইসবই বললাম ওকে।' তবে তাঁদের মধ্যে রাজনীতির কোনও কথা হয়নি বলে দাবি শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়রের।
রাজ্যে তৃণমূলের মূল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিজেপি। সুযোগ পেলেই পদ্ম বাহিনীকে নাা ইস্যুতে তুলোধনা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সিপিআইএম-ও বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক বলে দেগে দিয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপি সাংসদের বাম নেতা ও তৃণমূলী মেয়রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বেশ তাৎপর্যবাহী।