গরু পাচারকাণ্ডের মধ্যমণি মহম্মদ এনামুল হক। তাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তল্লাশিতে যেসব তথ্য উঠে আসাছে তা দেখে হতবাক সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারেরা। প্রকাশ্যে আসছে পাচারকাণ্ডের হোতা এনামুল, কাস্টমস অফিসার ও বিএসএফ কমাডান্ট সতীষ কুমারের প্রায় ১০০০ কোটির সম্পত্তি।
মুর্শিদাবাদের লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ, কলকাতা ও দুবাইতে সম্পত্তি রয়েছে। গরু পাচারের ব্যবসা হাওলার মাধ্যমে করে থাকে এনামুল। পশ্চিম এশিয়ার আরও একটি দেশে তার সম্পত্তি রয়েছে বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, এনামুল গরু পাচারের পাশাপাশি চাল কল, বাংলাদেশে চাল-পেঁয়াজ রফতানি, আবাসন ও নির্মাণ শিল্প, পাথর খাদান, বালির কারবারে যুক্ত। এর আগে ইডি-র তদন্তে উঠে এসেছে যে, হাওয়ালা চক্রে মাধ্যমেই আরও পাঁচটি সংস্থা চালায় সে।
বিএসএফ কমাডান্ট জিবু ম্যাথুকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে ২০১৮ সালে এনামুলকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে পরে সে জামিন পায়।
আরও পড়ুন: বাংলায় আল-কায়দার বিস্তারের পিছনে সক্রিয় জেএমবি, মনে করে এনআইএ
এই মামলায় বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের সল্টলেকে একটি বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া, গাজিয়াবাদ, অমৃতসর, মুসৌরি, রায়পুর ও শিলিগুড়িতেও তার সম্পত্তি রয়েছে। গত বুধবার এসব জায়গাতেই সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। বহু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে। সল্টলেকের বাড়িটি সিল করে দিয়েছে সিবিআই।
২০১৮-র শেষের দিকে সিবিআই তদন্তের ‘জেনারেল কনসেন্ট’ রাজ্য সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ফলে গত দু’বছর সিবিআই এ রাজ্যে কোনও নতুন মামলা নথিভুক্ত করতে পারেনি। সিবিআই কর্তারা জানাচ্ছেন, কলকাতা হাইকোর্ট সম্প্রতি এক রায়ে বলেছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় সিবিআই-কে রাজ্য সরকারের সম্মতি নিতে হবে না। সেই সূত্রেই নতুন দু’টি মামলা করা হয়েছে। একটি বিশ্বভারতীয় প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা। অন্যটি গরু পাচারের মামলা।
সরকারি আর কোন কোন অফিসার এই কাজে যুক্ত আপাতত তাই খুঁজে বার করছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে এনামুলের সহযোগী ইউসুফ শেখ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন