ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, নিরঞ্জন বৈষ্ণব ওরফে সেফালের রহস্যমৃত্যুর তদন্ত করবে সিবিআই। আগেই তপন কান্দুর খুনের তদন্ত করছে সিবিআই। এবার তাঁর বন্ধুর মৃত্যুর তদন্তও করবে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সেফালের। পাওয়া যায় একটি সুইসাইড নোট। তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী গৃহশিক্ষক সেফাল সুইসাইড নোটে দাবি করেন, মানসিক অবসাদ থেকেই তিনি আত্মহত্যা করছেন। গত ১৩ মার্চ খুন হন ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই খুনের ঘটনার সময় তপনের সঙ্গেই ছিলেন সেফাল। এর পর হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু সিবিআই নিরঞ্জনকে জেরা করার আগেই সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, তপন কান্দু খুনের তদন্তে সিট গঠনের পর পুলিশ বেশ কয়েকবার সেফালকে জেরা করার জন্য ডেকে পাঠায়। সেফালের দেহের কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে সে কথা উল্লেখ রয়েছে। লেখা রয়েছে, “যেদিন থেকে তপনের হত্যা হয় সে দিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি তা মাথা থেকে কোনওরকমে বের হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না। তার পর পুলিশের বার বার ডাক। আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। এই আমি আর সহ্য করতে পারছি না। সে জন্যই এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারও প্ররোচনা নেই।”
আরও পড়ুন দেগঙ্গা-সহ রাজ্যের চারটি ধর্ষণ মামলার তদন্ত দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে, নির্দেশ হাইকোর্টের
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ জানিয়েছে, সিবিআই তপন কান্দু খুনের তদন্ত করছে। এই অবস্থায় নিরঞ্জনের খুনের তদন্তও সিবিআইয়ের হাতেই থাক। রাজ্যে পর পর কয়েকটি রাজনৈতিক খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বগটুই গণহত্যা থেকে শুরু করে তপন কান্দুর পর এবার তাঁর বন্ধুর রহস্যমৃত্যুর তদন্তভারও গেল সিবিআইয়ের হাতে।