/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/Mamata-Banerjee-Mohiner-Ghoraguli-Bapi-Da.jpg)
প্রয়াত 'মহীনের ঘোড়গুলি'র শেষ 'ঘোড়া' বাপি দা।
প্রয়াত মহীনের ঘোড়াগুলির শেষ 'ঘোড়া' বাপি দা ওরফে তাপস দাস। মারণ ক্যানসারের সঙ্গে টানা লড়াইয়ে শেষমেশ হার মানলেন প্রবাদপ্রতীম এই শিল্পী। তাঁর চিকিৎসার জন্য এপার ও ওপাড় দুই বাংলাতেই টাকার জোগাড় শুরু হয়েছিল। এগিয়ে এসেছিল রাজ্য সরকারও। এসএসকেএম-এ তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তবে সব চেষ্টার শেষ রবিবার সকালেই। অসংখ্য গুণগ্রাহীর চোখে জল এনে চলে গেলেন বাপি দা। শিল্পীর প্রয়াণে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে প্রয়াত শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবদেনা জ্ঞাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
I mourn the death of Tapas Das ( Bapi da), who was a part of India's first rock band in Bangla, Moheener Ghoraguli. He was diagnosed with terminal illness and our government bore his full treatment costs at SSKM hospital for months as our humble support to the talented artiste's…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 25, 2023
এদিন টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'আমি তাপস দাস (বাপি দা) এর মৃত্যুতে শোকাহত, যিনি বাংলায় ভারতের প্রথম রক ব্যান্ড মহিনের ঘোড়াগুলির অংশ ছিলেন। তিনি টার্মিনাল অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আমাদের সরকার প্রতিভাবান শিল্পীর পরিবারের প্রতি আমাদের বিনীত সমর্থন হিসাবে কয়েক মাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে তার সম্পূর্ণ চিকিত্সার ব্যয় বহন করেছিল। শিল্পীর স্ত্রী সুতপা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং তার ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা।'
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী রণকৌশল সিপিএমের? পুরনো নিয়মেই দলে স্বীকৃতি!
সেই ১৯৭৫ সালে পথ চলা শুরু করেছিলেন 'মহীনের ঘোড়ারা'। আত্মপ্রকাশ করেছিল বাংলার প্রথম রক ব্যান্ড 'মহীনের ঘোড়াগুলি'। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক নজির ছুঁয়ে বাঙালি সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের মনে আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছিলেন 'মহীনের ঘোড়ারা'। 'তোমায় দিলাম', 'পৃথিবী', 'টেলিফোন' মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যতম সেরা সৃষ্টিগুলির মধ্যে অনন্য।
'মহীনের ঘোড়াগুলি'র অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন তাপস দাস ওরফে বাপি দা। মারণ রোগ ক্যানসার থাবা বসিয়েছিল তাঁর শরীরে। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাড়ে কার্যত হিমশিম দশা হয় পরিবারের। শেষমেশ তাপস দাসের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রেখে রাজ্যের উদ্যোগেই তাঁর চিকিৎসা চলে। তবে কঠিন এই লড়াইয়ের ধকলটা আর নিতে পারলেন না বাপি দা।