আগামী বছরের ১লা জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হওয়ার কথা। তার আগে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে গীতা পাঠের মাধ্যমে হিন্দু সংস্কৃতিকে জাগরিত করার উদ্যোগ নিয়েছে অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ। সেই উদ্যোগের প্রথম ধাপ হিসেবে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর মায়াপুর ইসকন মন্দিরে পাঁচ সহস্রাধিক কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল।
শনিবার তারাপীঠ সরস্বতী শিশু মন্দির সংলগ্ন মাঠে এই গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়। সকালে তারাপীঠ মন্দিরে আরতি করে শোভাযাত্রা করা হয়। বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত চলে গীতাপাঠ এবং যজ্ঞ। দুপুরে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। সংস্কৃত পরিষদের রাজ্য সম্পাদক মানস ভট্টাচার্য বলেন, 'রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় এভাবেই গীতা পাঠ করা হবে। ১৭ ডিসেম্বর কলকাতার বুকে এক লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ করানো হবে।'
হিন্দু পুরাণ অনুসারে, শিবের রুদ্র তাণ্ডবের ফলে সতীর দেহের নানা অংশ বহু স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার থেকে ভারত জুড়ে বিভিন্ন সতীপীঠের জন্ম হয়েছে। তারাপীঠকেও ৫১টি সতীপীঠের অন্যতম বলে মনে করা হয়। সতীর চোখের ঊর্ধ্বনেত্রের মণি অর্থাৎ তারা পড়ায় দ্বারকা নদীর পুব পাড়ের চণ্ডীপুর আজ তারাপীঠ।
আবার অনেকের মতে তারাপীঠ হল সিদ্ধপীঠ। কথিত আছে, সাধক বশিষ্ঠ দ্বারকার তীরে মহাশ্মশানের শ্বেত শিমূলের তলে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে তারামায়ের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তাই ব্রহ্মার মানসপুত্র বশিষ্ঠর সিদ্ধপীঠ এই তারাপীঠ। এছাড়াও এই স্থান সাধক বামাক্ষ্যাপার সাধনপীঠ হিসাবেও পরিচিত।