বোলপুরে সভা করতে এসে তারাপীঠে গিয়ে চলতি মাসে পুজো দেবেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মা তারাকে তাঁর দীর্ঘদিনের বাসস্থান থেকে সরানো হলো মঙ্গলবার। আপাতত শিব মন্দিরে রাখা হয়েছে মা তারার মূর্তিকে। পুরোনো মন্দিরের সংস্কার, সাথে রঙ করার কাজও শুরু হয়ে গেল এদিন থেকেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম রামপুরহাট শহরের কিছু দূরে কুসুম্বা গ্রামে তাঁর মামাবাড়িতে, সে মামাবাড়ির পরিজনরা এখনও বর্তমান। এই এলাকার মানুষ হওয়ার কারণে তারাপীঠের প্রতি তাঁর আলাদা দুর্বলতা আছেই। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তারাপীঠে রেলের আসন সংরক্ষন কেন্দ্র চালু করেন তিনি।
আরো পড়ুন: কেন গেরুয়া শিবিরের নজরে রামপুরহাট?
আসলে তারাপীঠ হলো সেই ধর্মীয় স্থান, যেখানে নির্দিষ্ট কোনো দিন বা সময় নয়, বারো মাস প্রতি দিন কয়েক হাজার পুণ্যার্থী আসেন। সাড়ে তিনশোর বেশি লজ-হোটেলের নগর তারাপীঠের আধুনিকীকরণের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করান। এরপর ডবল লেনের নতুন রাস্তা, নতুন কালভার্ট, তোরণ ইত্যাদি নির্মিত হয়েছে।
পুরোদমে চলছে মন্দির মেরামত
তারাপীঠ মন্দিরে সোলার লাইটে রান্নার জন্য আধুনিক ভোগঘর নির্মিত হয়েছে, সংস্কার করা হয়েছে এলাকার। তারাপীঠে আলাদা থানা নির্মাণের সাথে সামগ্রিক উন্নয়নের বিরাট পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। এবার মুখ্যমন্ত্রী কী নতুন পদক্ষেপ নেন তার দিকে তাকিয়ে আছেন এলাকাবাসী।
রাজনৈতিক অঙ্কে তারাপীঠ ছিল এতদিন লক্ষ্যকেন্দ্র, বিজেপির তিনটি রথযাত্রার মধ্যে একটি বের হওয়ার কথা ছিল তারাপীঠ থেকেই, তবে অমিত শাহের সেই রথ না বের হলেও তার বিরোধিতায় বিমান বসুর নেতৃত্বে বামেদের পদযাত্রা হলো তারাপীঠ থেকে। মমতাও পুজোর পাশাপাশি উন্নয়নের তদারকি করতে আসছেন, কিন্তু যার দৌলতে লোকসভা ভোটের আগে তারাপীঠ প্রচারের বাড়তি আলো পেল, সেই অমিত শাহরই হদিশ নেই।