সামাজিক প্রকল্পে ইতিমধ্যেই দেশের শীর্ষে বাংলা। এবার নজরে শিল্পায়ণ। দুর্গাপুরে ৪০০ কোটি টাকার পলিফিল্ম কারখানার শিলান্যাস করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কারখানায় কয়েক’শ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাজপুর বন্দর, ডেডিকেটেড ফেট করিডর সহ একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন তিনি। বেশ কয়েকটি প্রকল্পে ইতিমধ্যেই জমি দিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার, বাকিগুলির কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। শিল্পাযণে গুরুত্ব দিয়ে নতুন এমপাওয়ারমেন্ট গ্রুপ তৈরির ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই গ্রুপের প্রধান হবেন মমতাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যাতে চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন।
Advertisment
কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
'‘এখন আমার ডেস্টিনেশন শিল্প। সামাজিক কর্মসূচিতে এখন আমরা এক নম্বর। এখন আমার নজর শিল্প-কারখানায়।'
'দেউচায় বিশ্বের দ্বিতীয় সব থেকে বৃহত্তম কয়লা খাদান তৈরি করছি। তা থেকে সুবিধা পাবে পুরুলিয়া, হুগলি, বর্ধমান।'
'তাজপুর পোর্টও হয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি।'
'ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোর করেছিলাম আমি রেলমন্ত্রী থাকা কালীন। ২ হাজার একর জমি চিহ্নিতকরণের কাজও শেষ।'
'পানাগড় বাদে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে, তাতে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে।'
'জঙ্গলমহল সুন্দরী প্রকল্পে বিনিয়োগ হচ্ছে ৭২ হাজার কোটি টাকা। তাতে কর্মসংস্থান হবে লক্ষ লক্ষ মানুষের।'
'ইথানলের মতো জৈব জ্বালানি তৈরি হবে বাংলায়। ভাঙা চাল দিয়ে তৈরি হবে জ্বালানি। ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ কাজ পাবেন। কৃষকদেরও সুবিধা হবে।'
'দেড় হাজারের বেশি আইটি সংস্থা বাংলায় কাজ করে।'
'এখন আমাদের লক্ষ্য ডেটা স্টোরেজ। নতুন ডেটা ইন্ডাস্ট্রি নীতিতে রাজ্যের নতুন লক্ষ্য তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং সংগ্রহের হাব হিসেবে বাংলাকে গড়ে তোলা। শুধু পূর্ব ভারত নয়, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানের প্রয়োজন মেটাবে এটি। আগামী পাঁচ বছরে বাংলায় ৪০০ মেগাওয়াটের ডেটা সেন্টার তৈরি হবে।'
'গত দশ বছরে এক লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে রাজ্যে। প্রস্তাবনা রয়েছে ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের। '
'বানতলায় চামড়ার কারখানাগুলিতে পাঁচ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। অতিমারীতেও ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বাড়িয়েছি। এমএসএমই-তে মোট ১ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে।'
'শিল্পের কথা মাথায় রেখে একটি নতুন এমপাওয়ারমেন্ট গ্রুপ তৈরি করেছি। আমি নিজে এর চেয়ারম্যান থাকছি। এ ছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন রাজ্যের মন্ত্রীও থাকবেন গ্রুপে। রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পের কী অবস্থা, কতটা আভাব রয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে এই গ্রুপ।'
'বাংলায় বিনিয়োগ করুন। আমাদের সরকার শিল্পের পাশে আছে। এ রাজ্য শিল্পে এক নম্বর হবে।'
Advertisment
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন