Singur Land Acquisition: রাজ্যে বড় বিনিয়োগের স্বার্থে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি এই দাবি করেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। যদিও সিঙ্গুর আন্দোলনের ১৩ বছর বাদে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের এহেন উদ্যোগকে সমালোচনার সুরে বিঁধেছে বিরোধী শিবির।সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীর জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করে সেই সময় সরব হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে যে আন্দোলন মমতা-সহ তাঁর দলকে শাসকের আসনে বসায়।
এদিকে, রাজ্যে কর্মসংস্থানের পরিসর তৈরি করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তৃণমূল সরকার। এই দাবি করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মসংস্থানের সংখ্যা বিচার করে সংস্থাগুলোকে ইনসেনটিভ দেবে সরকার। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দুটি বড় সংস্থা তাদের উৎপাদন শাখা এ রাজ্যে দ্রুত খুলতে চলেছে।‘
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য, ‘টাটার সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। আমরা ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করিনি। বিদেশ-সহ দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত সংস্থা টাটা গ্রুপ। সিঙ্গুর আন্দোলনের জন্য আপনারা টাটাকে দোষ দিতে পারবেন না। সমস্যা ছিল তৎকালীন বাম সরকারের জোরপূর্বক জমি অধিগ্রহণে। টাটা গ্রুপকে রাজ্যে স্বাগত।‘
রাজ্যে টাটা সেন্টার, টিসিএস-এর পাশাপাশি টাটা মেটালিক্সের বিনিয়োগ রয়েছে। এরপর বড় কোনও বিনিয়োগের স্বার্থে টাটা গ্রুপ রাজ্যে এলে তাদের স্বাগত।তথ্য-প্রযুক্তি সচিব বলেছেন, টাটা গ্রুপ একটা টাটা সেন্টার তৈরি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এমনটাও ওই সংবাদ সংস্থাকে জানান শিল্পমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘টাটা গ্রুপের সঙ্গে তাঁর দফতর যোগাযোগ রেখেছে।‘ সিঙ্গুরে টাটার জমি অধিগ্রহণের আগে সেখানে বহুফসলি জমি ছিল। কিন্তু ২০০৬ সালে টাটা মোটোর্স ন্যানো কারখানা তৈরি করতে সেই জমি অধিগ্রহণ করতেই বাড়ে সমস্যা। তৎকালীন বাম সরকার দুই নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন প্রায় হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করে টাটা গ্রুপকে হস্তান্তর করে। জোর করে জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ তুলে সরব হয় তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন