Tea shop: খরিদ্দারের হাতেই কেনা-বেচার গুরুদায়িত্ব, শতাব্দী প্রাচীন এই চায়ের দোকানের কাহিনী চমকে দেবে
Serampore Tea Shop: বাঙালির কাছে চা মানে আবেগ! শীতের সকাল হোক অথবা বৃষ্টির সন্ধ্যা বা অফিসের আড্ডা চা কিন্তু চা'ই। বাঙালির এই আবেগকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক ক্যাফে, রেস্তোরাঁ প্রায়শই নিত্য নতুন ধরনের চায়ের ফিউশন নিয়ে হাজির হচ্ছে।
খরিদ্দারের হাতেই কেনা-বেচার গুরুদায়িত্ব, শতাব্দী প্রাচীন এই চায়ের দোকানের বড় চমক
Serampore Tea Shop: বাঙালির কাছে চা মানে আবেগ! শীতের সকাল হোক অথবা বৃষ্টির সন্ধ্যা বা অফিসের আড্ডা চা কিন্তু চা'ই। বাঙালির এই আবেগকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক ক্যাফে, রেস্তোরাঁ প্রায়শই নিত্য নতুন ধরনের চায়ের ফিউশন নিয়ে হাজির হচ্ছে। স্ট্রবেরি চা, রসগোল্লা চা, চকোলেট টি, কী নেই সেই তালিকায়! তবে আজকের এই প্রতিবেদনে এমন এক চায়ের দোকান সম্পর্কে জানাতে চলেছি যেখানে ক্রেতারা নিজেরাই চা বানিয়ে খান। শুধু চা বানিয়ে খাওয়াই নয় সেই সঙ্গে আবার চায়ের ন্যায্য দামটা রাখতেও ভুল করেন না কেউ'ই। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। শ্রীরামপুরের চাতরার কালীবাবুর শ্মাশানের ঠিক উল্টো দিকে এমনই এক শতাব্দী প্রাচীন চায়ের দোকানের কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় দিন কয়েক ধরেই শিরোনামে।
Advertisment
সাতসকালে এককাপ চা না হলে দিনটাই যেন শুরু হতে চায় না। চায়ের কাপে তুফান তুলে চলে বাঙালির আড্ডা, সুখ-দুঃখের চর্চা। চা ও বাঙালি অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। পাড়ার অলিগলি থেকে শুরু করে নামজাদা ক্যাফে, বাংলায় চায়ের ঠিকানার কিন্তু কোন অভাব নেই। তবুও শ্রীরামপুরের এই চায়ের দোকানের গল্পটা কিন্তু একেবারেই আলাদা। ১০-১২ জন হাসিমুখে চা করছেন, খাচ্ছেন। আবার ক্যাশবাক্সে ন্যায্য দামটাও রেখে দিচ্ছেন। খদ্দেররাও আসছেন চা নিচ্ছেন, দামটা দিতে কিন্তু কেউ'ই ভুলছেন না। আধুনিকতার ছোঁয়া প্রায় নেই বললেই চলে। তবুও এই চায়ের দোকানের সঙ্গে জুড়ে আছে একটা আবেগ। পাড়ার গুটি কয়েক মানুষের সকাল সন্ধ্যের আড্ডা- সুখ-দুঃখের নানান কাহিনী।
এলাকার স্থানীয়দের কথায়, দোকানের বয়স প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ বছর। আজ এটি চায়ের দোকান হলেও একসময় এই দোকানেই বিক্রি হত ঘট, কলসি। বেশ কয়েকবছর চলার পর বন্ধ হয়ে যায় দোকানটি। এরপর স্থানীয় নরেশ সোম চায়ের দোকানটি চালাতে শুরু করেন। প্রথম দিকে চায়ের সঙ্গে ঘুগনি, আলুর দম বিক্রি হলেও এখন এই দোকানে কেবল বিক্রি হয় চা-বিস্কুট। সারাদিনে প্রায় ২৫০ থেকে তিনশো কাপ চা বিক্রি হয় বলে জানাচ্ছেন চায়ের দোকানে দায়িত্বে থাকা সদস্য বিশ্বনাথ দে, অশোক চক্রবর্তী।
Advertisment
খরিদ্দারের হাতেই কেনা-বেচার গুরুদায়িত্ব
তাঁদের কথায়, ১০-১২ জন মিলে এখন পালা করে এই দোকান চালাই। ভোর চারটে থেকে রাত দশটা পর্যন্ত এই দোকান খোলা থাকে। কেবল বিশ্বাসের উপরেই এই দোকান চলে। নির্দিষ্ট সময়ে এসে প্রত্যেকেই তাঁদের দায়িত্ব সামলান। এটা আমাদের কাছে কেবল একটা চায়ের দোকান নয়, একটা আবেগে পরিণত হয়েছে। দোকানে সারাদিনের যা বিক্রি সব টাকায় থাকে ক্যাশবাক্সে। যখন যা দরকার পড়ে সেই টাকা থেকে খরচ হয়। খদ্দেররা এলে নিজেদের মত চা নিয়ে তার যা দাম তা ক্যাশ বাক্সে রেখে দেন।