Advertisment

গোটাটাই ছিল জাল নথি! তা দেখিয়েই স্কুলে চাকরি, শেষমেশ হাতে হাতকড়া শিক্ষিকার

শিক্ষাক্ষেত্রে আবারও এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস। নাটকীয় এই গ্রেফতারি এখন জোর চর্চায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Teacher arrested for showing fake documents for employment in school

গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে। ছবি: মধুমিতা দে।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ আগেই সামনে এসেছে। অতি সম্প্রতি ফের এক দফায় বেনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে একসঙ্গে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই আবহেই এবার জাল নথি দেখিয়ে চাকরি করার অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল মালদহের মানিকচক থানার পুলিশ। তফশিলি জাতিভুক্ত হওয়ার জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ইতিমধ্যেই দেড় বছর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করে ফেলেছিলেন ওই শিক্ষিকা।

Advertisment

ধৃত ওই শিক্ষিকার নাম চাঁপা মণ্ডল। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। আদালতের নির্দেশেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেন মালদহ সদর মহকুমাশাসক। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। তারই ভিত্তিতে ওই ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত চাঁপা মণ্ডলের বাড়ি মানিকচক থানার হাড্ডাটোলা গ্রামে।

২০২১-এর অক্টোবরে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বর্ণাহি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি তফশিলি কোটায় সেই চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁর সমস্ত নথিপত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে পাঠিয়ে দেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে এক ব্যক্তি চাঁপাদেবীর নিয়োগের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করেন।

আরও পড়ুন- কর্ণাটকে বিজেপির হারে কটাক্ষের বন্যা অভিষেকের, ‘চুপ করাতে’ ‘মোক্ষম’ জবাব গেরুয়ার

সেই মামলায় বিচারপতি ঘটনার তদন্ত করার জন্য জেলা সদর মহকুমাশাসককে নির্দেশ দেন। মহকুমাশাসক সব খতিয়ে দেখে মানিকচক থানায় চাঁপা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ চাঁপাদেবীকে গ্রেফতার করে।

মালদহ জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তের ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালতে যাওয়ার পথে এবিষয়ে অবিযুক্তকে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও তিনি মুখ খোলেননি। কিছু বলতে চায়নি পুলিশও।

আরও পড়ুন- বিদ্যুৎ গতির বন্দে ভারত ছুটছে বাংলাতেও! প্রতিটি ট্রেন তৈরির খরচ জানলে চমকে উঠবেন!

তবে এই প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বাসন্তী বর্মন বলেন, "ঘটনাটি আমার কানে এসেছে। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে সদর মহকুমাশাসক বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তিনি পুলিশে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই মানিকচক থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।"

Maldah Arrested West Bengal Recruitment Scam
Advertisment