বেড়াল ভেবে রাস্তা থেকে তুলে এনে ছোট্ট ছানাকে সযত্নে বাড়িতে প্রতিপালন করছিলেন এক শিক্ষিকা। বর্ধমান শহরের বাসিন্দা ওই শিক্ষিকা গত দু'বছর ধরে আদরে লালন পালন করেছেন প্রাণিটিকে। তবে সেই ছোট্ট ছানা বড় হতেই ভুল ভাঙতে শুরু করে শিক্ষিকার পরিবারের। বেড়াল ভেবে যে প্রাণিটির প্রতিপালন তাঁরা করছেন সেটি আসলে একটি বাঘরোল বা ফিসিং ক্যাট। তড়িঘড়ি যোগাযোগ করা হয় বনকর্মীদের সঙ্গে। তাঁরাই এসে নিয়ে গিয়েছেন প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে যাওয়া প্রাণিটিকে।
Advertisment
শহর বর্ধমানের নতুনপল্লি এলাকার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষিকা বিপাশা বিশ্বাস। তিনিই বছর দু'য়েক আগে রাস্তা থকে বেড়াল ভেবে তুলে এনেছিলেন ওই বাঘরোলটিকে। আদরে বাড়ির প্রত্যেকে মিলে প্রাণিটির লালন পালন করেছেন তাঁরা। তবে বড় হতেই প্রাণিটির আসল রূপ স্পষ্ট হতে শুরু করে। মাস কয়েক ধরেই তার আবভাব দেখে সন্দেহ বাড়তে থাকে পরিবারটির।
যদিও আদরের পোষ্যটিকে বাড়ি থেকে একেবারে রাস্তায় বের করে দিতে চাননি তাঁরা। তার যাতে ঠিকঠাক দেখাশোনা হয় সেই চেষ্টাই করেছেন তাঁরা। শেষমেশ শিক্ষিকার পরিবারের তরফে বর্ধমান সোসাইটি ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বনবিড়াল বা বাঘরোলটিকে ওই সংগঠনের সদস্যরাই উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছেন।
বর্ধমান সোসাইটি ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষে অর্ণব দাস বলেন, “শিক্ষিকা বিপাশা বিশ্বাস ২ বছর আগে বেড়ালের বাচ্চা ভেবে প্রাণীটিকে রাস্তা থেকে উদ্ধার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পোষেন। তবে পরে তিনি বুঝতে পারেন বেড়াল ভেবে যে প্রাণটিকে বাড়িতে রেখেছেন তিনি, সেটি আসলে একটি বাঘরোল।' আপাতত বাঘরোল বা ফিসিং ক্যাটটিকে গৃহস্থ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাণীটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।