দুর্নীতির অভিয়োগে সম্প্রতি এসএসসি-র চতুর্থ শ্রেণীর (গ্রুপ- ডি) ১৯১১ জন শিক্ষা কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বাতিলেরতালিকায় নাম রয়েছে বাগদার চরমণ্ডল CMPPBK ফুলমহন হাইস্কুলে গ্রুপ- ডি কর্মী বিপ্লব বিশ্বসের। আর এতেই চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে। পড়ানোর পাশাপাশি ওই স্কুলের মাস্টারমশাইদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর কাজও সামলাতে হচ্ছে।
গত সোমবার থেকে স্কুলে আসছেন না চরমণ্ডল CMPPBK ফুলমহন হাইস্কুলে গ্রুপ- ডি কর্মী বিপ্লব বিশ্বাস। তাঁর কাজ করছেন স্কুল শিক্ষকরা। স্কুলের শুরুর ঘণ্টা বাজানো থেকে শুরু করে, ছুটির ঘণ্টা পর্যন্ত বাজাতে হচ্ছে শিক্ষকদের। আর কয়েকদিন পরেই মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। এই স্কুলে মাধ্যমিকের সিট পড়েছে। স্কুলে গ্রুপ- ডি কর্মী না থাকায় সেই সময় খবুই সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষকরা।
এই বিষয়ে চরমণ্ডল CMPPBK ফুলমহন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ইন্দুদ্যুতি বিশ্বাস বলন, ‘গত সোমবার থেকে বিপ্লব স্কুলে আসছে না। একজনই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন আমাদের। চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী না থাকার ফলে তাঁর কাজ করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। আগামিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে, তখন অরাজকতার সৃষ্টি হতে পারে। স্কুল শিক্ষা দফতরে পুরটাই জানানো হয়েছে। তবে আমাদের কবে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পুনরায় দেওয়া হবে তা জানি না।’
এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ১,৯১১ জন কর্মীর। স্কুলে যেতেও তাঁদের নিষেধ করা হয়েছে। বেতন ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে চাকরিহারাদের একাংশ উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে পাল্টা মামলা করেন। মালাকারীদের যক্তি, গত ৫ বছর ধরে শ্রমের বদলে বেতন পেয়েছে, তাহলে এখন কেন সেই অর্থ ফেরত দেওয়া হবে? বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি। এদিন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ‘অযোগ্য’ কর্মীদের বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তবে চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রয়েছে।