উচ্চ প্রাথমিক, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রধান শিক্ষক ও নতুন শিক্ষকের পদে দ্রুত নিয়োগ শুরু হবে। ২১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। পুজোর সম্পন্ন হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বৈঠকের পর এই ঘোষণা করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
তবে এদিনের বৈঠকে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আগামী ৮ তারিখ ওঁরা আমার কাছে চিঠি দিয়ে বৈঠকে বসতে চেয়েছিল। যদিও সেই চিঠি আমি এখনও হাতে পায়নি। সেই চিঠি পেলেই আগামী ৮ তারিখ বৈঠকে বসব।' প্রাথমিকের আন্দোলনকারীদের অনেকের দাবি ন্যায্য নয় বলেও মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্যবাবুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, 'সহানুভূতির সঙ্গে আইনকে মেশাতে হবে।'
সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, 'নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। সেই নিয়মগুলি শিক্ষা দফতর আইনমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হচ্ছে।' অর্থাৎ, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন নিয়ম করতে চাইছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে হইচই। এর মাঝেই গত সপ্তাহে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জানিয়েছেন, এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার সঙ্গে বাংলার ২১ হাজার ফাঁকা আসনে নিয়োগে কোনও বাধা নেই।
শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এবং এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।