২০১৬ সালের পরে রাজ্যের সব জেলায় সমস্ত সরকারি স্কুলে যতজন নিয়োগ হয়েছেন, তাদের সকলের নিয়োগ পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআই-কে (স্কুল পরিদর্শক)। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন পুত্র। সেই মামলার শুনানি চলকালীন বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। তাঁর প্রশ্ন, 'তিন বছর ধরে একটি স্কুলে একজন ভুয়ো শিক্ষক বেতন পাচ্ছেন, অথচ আর সেই জেলার ডিআই তা জানেন না? কীভাবে সম্ভব? এরপরই গোটা ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছেন বিচারপতি বসু। পাশাপাশি বলেছেন, আরও এমনসব নিয়োগ জালিয়াতি হয়ে থাকতে পারে। তারও তদন্ত হওয়া দরকার।
মুর্শিদাবাদের গোথা এ রহমান হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির পুত্র অনিমেষের বিরুদ্ধে এক পাস করা শিক্ষকের নিয়োগপত্র জাল করে প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ২০১৯ সাল থেকে অনিমেষ ওই স্কুলে কর্মশিক্ষার শিক্ষক পদে চাকরি করেন। অভইযোগ অনিমেষের নিয়োগ বেআইনি। মুর্শিদাবাদ জেলা স্কুল পরিদর্শক বা ডিআই-য়ের দাবি অনিমেষ তিওয়ারিকে নিয়োগপত্র দেওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।
অনিমেষের নিয়োগের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর বুধবারই অনিমেষের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তাঁর স্কুলে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
<আরও পড়ুন- ‘ঝাঁটা, হাতা, খুন্তি, বঁটি নিয়ে বেরোন’, ‘গা গরম করা’ হুঙ্কার লকেটের>
<আরও পড়ুন- হারিয়ে যেতে বসেছে এককালের ‘আভিজাত্য’, রাজপথে অস্তিত্ব রক্ষাই দায় ‘আইকনিক’ হলুদ ট্যাক্সির>
<আরও পড়ুন- ভরা মাঘেও উধাও শীত, বিদায়ের পথে ঠান্ডা? বৃষ্টি ভাসাবে কোন জেলা?>