/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/07/cats-2025-09-07-12-36-16.jpg)
তেহট্টর নিশ্চিন্তপুরে বালককে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করল
তেহট্টর নিশ্চিন্তপুরে বালককে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম ছোট্টু মন্ডল, সুপ্রিয়া ভৌমিক, কার্তিক মন্ডল ও সুচিত্রা মন্ডল। ধৃতরা প্রত্যেকে একই পরিবারের সদস্য। অভিযুক্ত ৭ জনের মধ্যে জনরোষে মৃত্যু হয়েছে এক দম্পতির।
খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত নিশা মন্ডল জনরোষে পড়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রসঙ্গত নিখোঁজ স্বর্ণাভ বিশ্বাসের জলাশয় থেকে দেহ উদ্ধারের পর জনরোষে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত এক দম্পতি। উত্তেজিত এলাকার মানুষ অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তেহট্ট থানার নিশ্চিন্তপুর বটতলা এলাকার এই ঘটনা এই মুহূর্তে জেলা জুড়ে আলোচনা হচ্ছে। কি কারণে এক বালক খুন হয়ে গেল? তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত করছে।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে প্রতিবেশী বিশ্বাস ও মন্ডল পরিবারের মধ্যে। একটা সময় এই দুই পরিবারের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। পরে তা খারাপ হয়ে যায়। প্রতিবেশীর মধ্যে হিংসা, শত্রুতা, দ্বন্দ্বের কারণেই কি এই খুন? পুলিশ তা তদন্ত করছে। এছাড়াও পেশায় টোটো চালক উৎপল কয়েক বছর আগে স্কুলের শিশু পড়ুয়াদের নিয়ে সকালে স্কুলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে সন্ধ্যায় পলাশি এলাকায় পাচারকারী সন্দেহে ধরা পড়ার ঘটনাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তবে কি উৎপল শিশু পাচারকারী? উৎপলের মাদক সেবন করার বিষয়টিও যথেষ্ট উদ্বেগের। তাই এই বালক খুনের ঘটনা নিয়ে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে পুলিশ তদন্ত করছে।
উল্লেখ্য, পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে স্বর্ণাভ শৌচাগার যায়। তারপর থেকে তাকে তার খুঁজে পাওয়া যায় নি। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত গড়ালেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন প্রবল উদ্বেগের মধ্যে পড়েন। শনিবার সকালে বাড়ির কাছে ঝোপের মধ্যে থাকা একটি জলাশয় থেকে এই বালকের প্লাস্টিক জড়ানো দেহ উদ্ধার হয়। পরে মৃতের বাড়ির লোকজন ৭ জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ। শনিবার রাতে অভিযুক্ত ৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এ নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ বলেন, "এই বালক খুনের ঘটনায় বাড়ির লোকজনের অভিযোগ পেয়েছি। তারপর ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে খুনের ঘটনায় এদের যোগ পাওয়া গিয়েছে। আমরা ধৃতদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানাবো"।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us