Birbhum: গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট করার প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বাস্তব চিত্র গেল উলটে। স্কুল পরিচালনা সমিতির নির্বাচনে বিরোধীদের মনোনয়ন জমায় বাধার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে উঠল। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি বীরভূমের পাইকার থানার কলহপুর গ্রামে।
Advertisment
জানা গিয়েছে, মুরারই-২ নম্বর ব্লকের কলহপুর হাজি মহম্মদ কোরবান হোসেন হাইমাদ্রাসায় ৬টি আসনের জন্য শুক্রবার ছিল মনোনয়ন পত্র জমার শেষ দিন। সেই মতো এদিন বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে ৬ জন প্রার্থী এবং তাদের প্রস্তাবক-সমর্থকেরা যাচ্ছিলেন স্কুলে। শাসক দলের ব্লক সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে লোকজন আগেই এলাকায় জড়ো ছিলেন। বাম প্রার্থীদের তাঁরা স্কুলের ২০০ মিটারের মধ্যে পথ আটকায়। শুরু হয় দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি। এক বাম সমর্থকের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে শাসক দলের লোকজন। শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা না দিয়েই ফিরতে হয় বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী ও সমর্থকদের।
সিপিএমের মুরারই ২ নম্বর ব্লক নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, "অনুব্রত মণ্ডল পঞ্চায়েত নির্বাচন না করানোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। তাদের ভুল হয়েছিল বলে স্বীকার করে সমস্ত নির্বাচন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি শুধু যে কথায়, সেটা এদিন বুঝতে পারলাম। এই সরকার কোনও নির্বাচন অবাধ করতে দেবে না। আমরা মানুষের কাছে গিয়ে শাসক দলের প্রহসনের কথাই বলব।‘
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আফতাব উদ্দিন মল্লিক বলেন, ‘বিরোধীরা মিথ্যা বলছেন। ওরা মনোনয়ন জমা দিতেই আসেনি। আমরা কাউকে বাধা দিইনি।‘