বৃহস্পতিবার রাতের পর শুক্রবার বেলা গড়াতেই ফের উত্তাল সল্টলেকের সিটিসেন্টার, করুণাময়ী। গতরাতেই টেট আন্দোলনকারীদের জোর করে তুলতে পুলিশি ‘বলপ্রয়োগে’র অভিযোগ ওঠে। যার প্রতিবাদে এ দিন করুণাময়ীতে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই নেতা কর্মীরা। তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এরপরই অবস্থা জটিল হয়। পুলিশের সঙ্গে বাম ছাত্র-যুবদের ধস্তাধস্তি, খণ্ডযুদ্ধ হয়। শুয়ে পড়ে পুলিশকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কলতান দাশগুপ্তরা।
শেষ পর্যন্ত বাম ছাত্র, যুবদের আটক করে ভ্যানে তোলে পুলিশ। চ্যাংদোলা করে সরানো হয় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের। ‘পুলিশ ভয় পেয়েছে’ বলে দাবি বাম যুব নেত্রীর।
নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোর পরপরই করুণাময়ীতে পর্ষদের দফতর কড়া নিরাপত্তার মুড়ে ফেলা হয়েছে। গোটা এলাকায় প্রচুর পুলিশে রয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১২টার সময় জমায়েতের ডাক দিয়েছিল বামেরা। কিন্তু কর্মসূচির আগেই মধুজা সেন রায়, সায়নদীপ মিত্রদের গ্রেফতার করে নেয় পুলিশ। তারপরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জোর করে সিটিসেন্টারের সামনে মিছিল শুরু করেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কলোতান দাশগুপ্ত, ময়ূখ বিশ্বাস, পারমিতা ঘোষ চৌধুরিরা। সঙ্গে ছিল কয়েক’শ বাম ছাত্র-যুব কর্মী। তাদের পুলিশ বাধা দিলে রাস্তায় বসে পড়েন। বাম কর্মীদের অবস্থান তুলতে কড়া পদক্ষেপ করে পুলিশ। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বাম ছাত্র-যুবদের ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি।

সিটিসেন্টার এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে কিনা তা পুলিশের থেকে সোচ্চারে জানতে চান বাম ছাত্র-যুবরা। মীনাক্ষীকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বলতে শোনা যায়, ‘দেখাতে পারবেন কাগজ দেখান সিটি সেন্টারের সামনে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে? আপনি তো তৃণমূলকে ঘুষ দিয়ে পুলিশে চাকরি পাননি, তাহলে এত দালালি করছেন কেন? ডিএ পাচ্ছেন? বাড়িতে গিয়ে বউ-ছেলেকে মুখ দেখাতে পারেন?’
বাম কর্মীদের হঠাতে একসময় রীতিমতো হিমশিম খায় পুলিশ। বেলা দেড়টা নাগাদ মীনাক্ষীদের ঘিরে ফেলে পুলিশ। টেনে-হিঁচড়ে বাম ছাত্রযুবদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নেয় পুলিশ।