সল্টলেকের করুণাময়ীতে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনে পড়েছে। চলছে অনশন। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। হকের চাকরি না মেলা পর্যন্ত নিজেদের দাবিতে অনড় ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ নন–ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। চোখে ঘুম নেই কারোর। রাস্তায় শুয়ে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। পালা করে রাত জাগছেন আন্দোলনকারীরা। খাওয়া–দাওয়ার বালাই নেই।
ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দিয়েছেন, টেটে উত্তীর্ণদের আন্দোলন ও পরীক্ষা না দিয়ে চাকরির দাবি অন্যায্য। পরীক্ষায় বসতেই হবে সকলকে। আন্দোলনকারীদের অবশ্য দাবি, তাঁরা দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। ফের ইন্টারভিউ দেবেন না। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আন্দোলনকারীদের রাস্তায় না বসে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পর্ষদ সভাপতি ও শিক্ষামন্ত্রী এই আন্দোলনের নেপথ্যে অন্যসব রাজনৈতিক দলের ইন্ধন খুঁজে পেয়েছেন। ব্রাত্য বসুর কথায়, 'একদল বিরোধী চান না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ করুন। চান রাজ্যে অচলাবস্থা তৈরি হোক। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য এটা করা হয়েছে।'
এ দিন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেছেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। মুখ্যমন্ত্রী কেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এদিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার ইডি-র দফতরে হাজিরা দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডল। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যান তাপস। দুর্নীতি-কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার তলব করেছে ইডি।
পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট মানিক ভট্টাচার্যের আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছে যে, ইডি হেফাজতেই থাকতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে।