কেউ প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ, কারওর নাম রয়েছে নবম-দশম-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের তালিকায়। বঞ্চিত এসএসসির গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডির চাকরিপ্রার্থীরাও। কেউ গান্ধীমূর্তির পাদদেশে, তো কেউ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন করছেন। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আন্দোলন ৫৯১ দিনে পড়েছে। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলির পর ভাইফোঁটাতেও পথেই ওঁরা। ধরনামঞ্চে বলে থাকা কোনও বোন এবার বাড়িতে নিজে দাদা বা বাইকে ফোঁটা দিতে পারবেন না। একই অবস্থা আন্দোলনে সামিল কোনও দাদা বাবাইয়ের ক্ষেত্রেও। কিন্তু, চাকরির দাবিতে বাড়ি, পরিবার-পরিজন ছেড়ে আন্দোলন করতে গিয়েই গড়ে উঠেছে ভাই-বোনের সম্পর্ক। ফলে আন্দোলন মঞ্চেই প্রতিবাদে হল ভাইফোঁটা।
Advertisment
চুয়া-চন্দন-দই -ধান-দুর্বায় দাদা-ভাইদের মঙ্গলকামনা করেন দিদি-বোনেরা। দাদা-ভাইদের মিষ্টিমুখের ব্যবস্থাও রেখেছিলেন বোনেরা। ছিল সিঙ্গারা-মিষ্টির ব্যবস্থা। মনে বিষাদ নিয়েই আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবিতে অনড়। অযোগ্যদের সরিয়ে যোগ্যদের চাকরি দিতেই হবে।
বুধবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে হাজির ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, ইন্দ্রজিৎ বসু, কলতান দাশগুপ্তরা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, 'আন্দোলনমঞ্চ এখন একটা পরিবার। সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন। এই ভাইফোঁটা তারই পরিচয়।'
প্রায় একই সময় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের ধরনামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। আন্দোলনকারীদের পাশের থাকার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, 'সরকার সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ চাইনি, তাই এঁদের এত হয়রানি। ৮ বছর চলে গিয়েছে, অনেকের বয়স ৪০ হয়ে গিয়েছে। এরা আর সরকারি চাকরি পাবেন না। এর জন্য সরকার দায়ী। লড়াই করেই দাবি ছিনিয়ে নিতে হবে। আমরা ওদের পাশে আছি সবসময়। এখন মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিচ্ছেন, কিন্তু কেন ওনার কথা ভুক্তভোগীরা শুনবে?'