প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ঘোষণা পর্ষদের তরফে আগেই হয়েছিল। ২৯ সেপ্টেম্বর জারি হয়েছিল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। কিন্তু পুজো শেষে ফের নিয়োগ সংক্রান্ত বড় ঘোষণা করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। স্পষ্ট জানালেন, টেট পাস মানেই চাকরি পেয়ে যাওয়া নয়। টেট উত্তীর্ণ মানে হল যোগ্যতামান।
পাশাপাশি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন যে, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন তাঁরাও এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন। তিনি বলেন, '২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তাঁরা বলেছিলেন যে, যখনই নিয়োগের কথা ওঠে তখনই ২০১৪ সালের পাস করাদের তালিকা বের করা হয়। আমি তাঁদের কথা দিয়েছি, যে বছরেই আপনারা টেট পাশ করুন না কেন, এবার আবেদন করুন। ২০২৩য়ের মধ্যেই আমরা চেষ্টা করব সকলকে নিয়োগ দেওয়ার।'
১৬ হাজারের বেশি আসনে নিয়োগ হবে বলে দাবি করেছেন গৌতমবাবু। তাঁর ঘোষণা, 'নিয়োগ হবে ২০১৬ সালের রুল মেনেই। অর্থাৎ, টেট পাস ও এনসিইটি-র নিয়োগ মোতাবেক বিএড করা থাকলেই আবেদন করা যাবে। আইন মেনেই হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এইসময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত সব বিষয়ে যেকোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে আমি প্রস্তুত।'
এ দিন ফের তিনি বলেছেন যে, প্রতি বছর দু'বার করে টেট পরীক্ষা হবে। শিক্ষা দফতর, শিক্ষামন্ত্রীর এতে সায় রয়েছে।
২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থী। প্যানেলে নাম ছিল ১৬,১০১ জনের। অন্যদিকে ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন ১.৮৯ লাখ পরীক্ষার্থী। পাস করেছিলেন ৯,৮৯৬ জন।
মঙ্গলবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তার মধ্যেই এ দিন বিকেলে নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নয়া সভাপতি গৌতম পাল।