এবার চাকরির দাবিতে পথে নেমে সোচ্চার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। চাকরিপ্রার্থীরা এদিন সল্টলেকে এপিসি ভবন অভিযানে সামিল হন। করুণাময়ীতে আন্দোলনকারীদের বাধা পুলিশের। পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি আন্দোলনকারীদের। রাস্তায় বসে-শুয়ে প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের। পোস্টার-ব্যানার নিয়ে চাকরির দাবিতে বেনজির বিক্ষোভ টেট উত্তীর্ণদের।
সপ্তাহের প্রথম দিনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি করুণাময়ীতে। টেট উত্তীর্ণদের প্রবল বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি। এদিন বিপুল সংখ্যায় চাকরিপ্রার্থীরা এসে জড়ো হন সল্টলেকের করুণাময়ীতে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের কাছে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। বিক্ষোভ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় চাকরিপ্রার্থীদের। বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায় পুলিশকে। ধাক্কাধাক্কিতে কয়েকজন আন্দোলনকারী অসুস্থও হয়ে পড়েন। রাস্তাতেই বসে পড়েন তাঁরা। এরপর রাস্তায় বসেই চলে স্লোগানিং।
আরও পড়ুন- ‘সৌরভ রাজনীতির শিকার, কেন সরানো হল বোর্ড থেকে?’, ‘অন্যায়ে’র প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন মমতা
বিক্ষোভ তুলে নিতে আন্দেলানকারীদের আবেদন করে পুলিশ। তবে এরপরেও আন্দোলনের ঝাঁঝ এতটুকুও কমেনি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে চাকরির প্রতিশ্রুতি মেলা না পর্যন্ত অবস্থান আন্দোলন উঠবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন চাকরিপ্রার্থীরা। এরই মধ্যে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছোয় ঘটনাস্থলে।
বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়িতে টেনে-হিঁচড়ে তোলা হয় আন্দোলনকারীদের। পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় আন্দোলনকারীদের। সপ্তাহের প্রথম দিনে করুণাময়ী মোড়ের মতো ব্যস্ত রাস্তায় এই বিক্ষোভের জেরে তীব্র যানজট তৈরি হয়। যানজচট সরাতে রীতিমতো হিমশিম দশা হয় পুলিশের।