প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অবিলম্বে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের। পর্ষদ সভাপতি আবার তৃণমূল বিধায়কও। এবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁকে সরানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।
এদিন প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে যে নথিগুলি পেশ করার কথা ছিল তা পেশ করতে পারেনি পর্ষদ। এদিন পর্ষদ ২০১৭ সালের কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু ২০২২ সালের নথি জমা দেওয়া হয় পর্ষদের তরফে। প্রয়োজনীয় নথি দিতে না পারায় আদালত এই কড়া নির্দেশ দেয়।
পাশাপাশি আগামিকাল তাঁকে সশরীরে হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদিন না নতুন সভাপতি নিয়োগ হচ্ছে ততদিন পর্ষদের দায়িত্বে থাকবেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। আদালতের নির্দেশ, আগামিকাল দুপুর ২টোর মধ্যে হাজিরা দিতে হবে মানিককে। না হলে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন স্কুলে বাড়ছে গরমের ছুটি? আদালতের প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর এড়াল রাজ্য
এদিকে, আদালতের নির্দেশের পর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। কটাক্ষ করে বলেছেন, "মানিক ভট্টাচার্যের আমলে টেট-নিয়োগ দুর্নীতি সবারই জানা। এটা তো আর লুকোছাপা নেই। এতদিন তিনি পর্ষদের সভাপতি রয়েছেন সেটাই তো আশ্চর্যের। কোমরে দড়ি পরিয়ে এঁদের হাজতে ঢোকাতে হবে। অপসারণ করে লাভ হবে না।"
আরও পড়ুন ‘লাখখানেক চাকরির ৫০-১০০টা ভুল কেস হতেই পারে’, ‘দিদিমণি’র ড্যামেজ কন্ট্রোল
সোমবার আদালত জানিয়েছে, পর্ষদের নথি দিল্লিতে সিবিআইয়ের দফতরে পাঠানো হবে। আদালতের নির্দেশ যথাযথ পালন করা হয়নি। আদালতে যে নথি পেশ করতে বলা হয়েছিল এবং যেগুলি পেশ করা হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। একাধিক তথ্য না পাওয়ায় দায়ী মানিক-ই। তাই আর কোনওভাবেই এই পদে থাকার অধিকার নেই মানিক ভট্টাচার্যের। আদালতের নির্দেশে এদিন অপসারণ করা হল মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁর জায়গায় পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী।