শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে প্রবল শোরগোল। একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে। জেলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আদালতের নির্দেশ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। দায়িত্বে এসেছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গৌতম পাল। কাজে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই বড় ঘোষণা করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নয়া সভাপতি।
কী বলেছেন গৌতম ঘোষ?
দুর্নীতির জেরে প্রশ্নের মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু, দায়িত্বে এসেই সংস্থার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে মরিয়া গৌতমবাবু। প্রতি বছর টেট পরীক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। স্বচ্ছতা বজায় রেখে পর্ষদ আগামী দিনগুলিতে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গৌতম পাল বলেছেন, ' প্রতি বছর টেট হবে। নির্দিষ্ট সময়ে মেধা তালিকা বের হবে।' প্যানেল প্রকাশের পর নিয়োগ ঘিরে চাকরিপ্রার্থীদের অনেক প্রশ্ন থাকে। যা নিরসণ খোদ সভাপতি করবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যদ সভাপতির কথায়, 'স্পষ্টতা দূর করার দায়িত্ব আমি নিলাম। আগামী দিনে সব স্বচ্ছ করে করব। যারা টেট পরীক্ষা দেবেন, তাঁদের বলি কোনও কিছু লুকাবো না। আমি একা নই, বোর্ড সদস্যদের মতামত নিয়েই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামীদিনে চেষ্টা করব চাকরি প্রার্থীদের কোনও প্রশ্ন থাকলে তার উত্তর দেওয়ার।'
আরও পড়ুন- ‘রাগ করবেন না, আমি শুধু আম্বেদকরের বক্তব্যটাই বলেছি,’ সাফাই JNU উপাচার্যের
সভাপতির সঙ্গেই পরিবর্তন করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাঠামোতে। সভাপতি করা হয়েছে অধ্যাপক গৌতম পালকে। এছাড়াও পর্ষদ পরিচালনায় তৈরি করা হয়েছে ১১ সদস্যের অ্যাড হক কমিটি।
শিক্ষক নিয়োগদুর্নীতিকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে তৃণমূল সরকার। দ্রুত নিয়োগের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্ষদ সভাপতি ও অ্যাড হক কমিটি কী স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকারের অভিপ্রায় পূরণ করতে পারবে? সেদিকেই এখন নজর।