দিঘায় সমুদ্র তীরবর্তী অস্থায়ী হকারদের উচ্ছেদ করল প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেলে সমুদ্র তীরবর্তী অস্থায়ী হকারদের স্টল ভেঙে দেন দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। কয়েকদিন আগে দিঘায় স্থায়ী হকাররা দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা ডেপুটেশন জমা দিয়েছিলেন।
Advertisment
স্থায়ী হকারদের অভিযোগ, অস্থায়ী হকারদের জন্য তাঁদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। বিক্রিবাট্টা প্রায় লাটে ওঠার জোগাড়। কারণ, পর্যটকরা সমুদ্র সৈকতে বসা অস্থায়ী হকারদের থেকে কেনাকাটা করছেন। অথচ স্থায়ী হকাররা মোটা টাকার বিনিময়ে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ থেকে মোটা টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স নিয়ে দিঘার সৈকতে ব্যবসা করতে নেমেছেন।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার অস্থায়ী হকারদের উচ্ছেদে নামে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। এই ব্যাপারে পর্ষদের আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল জানান, দিঘার সমুদ্র পাড়ে বহু অস্থায়ী হকার বসে ব্যবসা করছিলেন। তার ফলে পর্যটকদের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছিল। সেই নিয়ে উন্নয়ন পর্ষদের কাছে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ জমা পড়ছিল।
তার মধ্যেই স্থায়ী ব্যবসায়ীরা তাঁদের সমস্যার কথা উন্নয়ন পর্ষদকে জানিয়েছিলেন। অস্থায়ী হকাররা বেআইনি হকার। তাঁদের থেকে উন্নয়ন পর্ষদের বা প্রশাসনের কোনও আয় হচ্ছিল না। এই জটিল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতেই অস্থায়ী হকারদের উচ্ছেদ করা হল বলে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
উচ্ছেদের সময় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলেই উন্নয়ন পর্ষদের কর্মীদের আশঙ্কা ছিল। সেকথা মাথায় রেখেই বিশাল পুলিশবাহিনী সঙ্গে রাখা হয়েছিল। এর আগেও অস্থায়ী হকারদের উচ্ছেদের চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যাপক বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে।
তবে, এই উচ্ছেদের পরও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না দিঘার স্থায়ী হকাররা। তাঁদের অভিযোগ, অস্থায়ী হকাররা ফের ওই জায়গায় এসে বসতে পারেন। সেটা রোখার জন্য কড়া প্রশাসনিক নজরদারির প্রয়োজন। ভবিষ্যতে যাতে বেআইনি হকাররা ফের ওই জায়গায় এসে বসতে না-পারেন, সেটা প্রশাসনকেই নিশ্চিত করতে হবে। না-হলে, মঙ্গলবারের উচ্ছেদ কোনও কাজে লাগবে না-বলেই মনে করছেন দিঘা সৈকতের স্থায়ী ব্যবসায়ীরা।