রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত জোটের দখলে। পাশাপাশি হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতও হাতছাড়া হল তৃণমূলের। কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি হাত মিলিয়ে দখল নিল হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। কার্যত সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর ১নং ব্লকেই ধরশায়ী হয়েছে তৃণমূল। ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬টি বিরোধীদের দখলে। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতও ধরে রাখতে পারল না জোড়াফুল শিবির। বন্যাত্রাণে অবহেলা, দুর্নীতি থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতস্তরে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা না-পাওয়ার মত নানা বিষয়ের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ভোট ব্যাংকে, এমনটাই দাবি জোটের।
শনিবার হরিশ্চন্দ্র ১ নং ব্লকের হরিশচন্দ্রপুর এবং মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। এর আগে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে এই দুইটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত করে রাখে প্রশাসন। তাই শনিবার সকাল থেকেই কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুর এবং মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বর।
মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংরুয়া গ্রামে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বাড়ি। আর সেই পঞ্চায়েতও এবার হাতছাড়া হল তৃণমূলের। ২০ টি আসন বিশিষ্ট মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল জিতেছিল ৯টি আসনে এবং জোটের দখলে ছিল ১০টি। ১টিতে জিতেছিল নির্দল। সেই মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতও সিপিএম, কংগ্রেস জোটের দখলেই গেল। সিপিএম থেকে প্রধান হয়েছেন মৌসুমী দাস ও উপপ্রধান জুল্লু রহমান। তাঁদেরকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- কলকাতা পুরসভায় ধুন্ধুমার, বিজেপি নেতার বাড়িতে বুলডোজার চলা নিয়ে তুলকালাম-কাণ্ড
অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতও মন্ত্রীর গড়। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের বিপরীতেই মন্ত্রীর দলীয় কার্যালয়। আর সেখানেও ঘটল উলটপুরাণ। কংগ্রেস-সিপিআইএম ও বিজেপি একসঙ্গে হাত ধরে পঞ্চায়েত দখল করল হরিশ্চন্দ্রপুরে। ৩০টি আসন বিশিষ্ট হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল জিতেছিল ১২টি আসনে। কংগ্রেস, সিপিএম জোটের দখলে গিয়েছিল ১২টি। অন্যদিকে বিজেপির দখলে ছিল ৬ টি। এই পঞ্চায়েতে কংগ্রেস-সিপিএম জোটকে সমর্থন করেছে বিজেপি। হরিশ্চন্দ্রপুর-১নং ব্লকে তৃণমূলের এই বিপর্যয় নিয়ে মন্ত্রীর ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে।