আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিনই উচ্চ আদালতে আনিস মৃত্যুতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের আবেদন করেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। হাইকোর্ট তাঁর সেই আবেদন গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে মামলার অভিযোগের বিষয়ে আবেদনপত্র পেশের নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন মামলাকরীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য আদালতে বলেন, ''পরিকল্পনা করে আনিসকে খুন করা হয়েছে। তাঁর বাবার মাথায় বন্দুকের নল ধরে আনিস খানকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের পোশাকে কয়েকজন লোক আনিসকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে।'' তিনি আরও বলেন, ''প্রতিবাদী মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন আনিস। এমনকী উলুবেড়িয়া হাসপাতালের দুর্নীতি নিয়েও তিনি এক সময় সরব ছিলেন। তদন্তের নামে রাতে তাঁর বাড়িতে ঢুকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় আনিসকে।''
আরও পড়ুন- আনিস মৃত্যুর তদন্তে SIT, ঘোষণা মমতার, দোষীদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস
এদিকে, ইতিমধ্যেই আমতার কলেজ ছাত্র আনিস খানের রহস্য মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ''সরকার আনিসের মৃত্যুর কিনারায় নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। মুখ্যসচিব, ডিজি, সিআইডি থাকবে সিটে। জীবন ফেরাতে পারব না, কিন্তু নিরপেক্ষ তদন্ত যে হবে, সেটা বলতে পারি। এমনকী আমি দোষী হলে আমাকেও ছেড়ে কথা বলব না। পরিবারকে বলব আস্থা রাখতে। ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট আমাকে জমা দেবে সিট। তারপর আইন মোতাবেক পদক্ষেপ হবে।''
আরও পড়ুন- রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই, আনিস খুনে CBI চেয়ে মন্ত্রী-সাংসদের সামনেই প্রবল বিক্ষোভ
এদিকে, নেতা-মন্ত্রীদের আশ্বাসে আর ভরসা করতে পারছেন না আনিসের পরিবার ও এলাকাবাসী। আনিসের এই মর্মান্তিক পরিণতিতে দোষীদের ফাঁসির দাবি তুলেছেন তাঁরা। সোমবার সকালে আনিসের বাড়িত গেলে উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ ও রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়কে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। রাজ্য পুলিশ নয়, আনিস মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার।