পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনেও অব্যাহত থাকল হিংসা-হানাহানির ঘটনা। সেই তালিকায় বৃহস্পতিবার জায়গা করে নিল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটও। বৃহস্পতিবার মঙ্গলকোট বিডিও অফিসে মনোনয়ন দাখিল করতে যাওয়া প্রবীণ কংগ্রেস নেতার হাত থেকে মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়ে তাঁকে ধাক্কা মেরে বিডিও অফিসের দোতলার সিঁড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনের বিরুদ্ধে।
ঘটনায় জখম হয়ে ৭৩ বছর বয়সি কংগ্রেস নেতা জগদীশ দত্ত এখন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বামেরাও। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জগদীশ দত্তর বাড়ি মঙ্গলকোটের মাজিগ্রামে। জগদীশবাবু দলের পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির পূর্ব বর্ধমান জেলার চেয়ারম্যান। এদিন দুপুরে তিনি তাঁর দলের ১২ জন প্রার্থীকে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে মঙ্গলকোট বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন।
কংগ্রেসের অভিযোগ, জগদীশ দত্ত বিডিও অফিসের ভিতরে ঢুকতেই তৃণমূলের লোকজন মারধর করে তাঁর হাত থেকে কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে তাঁকে তাড়িয়ে দেয়। এমনকী, জগদীশবাবুকে ধাক্কা দিয়ে বিডিও অফিসের দোতলার সিঁড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তাতে তিনি গুরুতর জখম হন। আহত জগদীশ দত্তকে উদ্ধার করে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কংগ্রেস নেতার শরীরের একাধিক জায়গায় চোট লেগেছে। আঘাত গুরুতর। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।
মঙ্গলকোটে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক সাজাহান চৌধুরি এবিষয়ে জানান, শুধু জগদীশবাবুই নন। এদিন কয়েকজন দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে তিনি নিজেও মঙ্গলকোট বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের লোকজনের বাধার মুখে পড়েন। তার জেরে মনোনয়ন জমাই দিতে পারেননি। যদিও মঙ্গলকোটের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর দাবি, 'প্রার্থী খুঁজে না-পেয়ে বিরোধী দলগুলো মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।'
আরও পড়ুন- বিরাট ধাক্কা কমিশন-রাজ্যের, গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের নির্দেশ হাইকোর্টের
তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করলেও, মনোনয়নপত্র জমা শুরু হওয়ার দিন থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক হানাহানি ব্যাপক আকার নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী প্রার্থী এবং নেতারা আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী, পুলিশের ওপরও হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।