কুয়েতে ঘুমের মধ্যেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৪৯ জনের। মর্মান্তিক সেই ঘটনা গোটা বিশ্বকে নাড়া দিয়ে গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪৫ জন ভারতীয় রয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই ঘটনার পর ভারতীয় নাগরিকদের দেব দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রী জয় শঙ্কর কুয়েতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
ইতিমধ্যেই ভারতীয়দের মৃতদেহ নিয়ে কুয়েত থেকে সি ১ ৩০ বিমান দিল্লিতে এসে পৌঁছেছে। দিল্লি থেকে কফিন বন্ধি নিথর দেহ ইন্ডিগোর বিমানে কলকাতায় এসে পৌঁছোয়। দাঁতনের বাসিন্দা দারিকেশ পট্টনায়ক। তিনিও কুয়েতেই থাকতেন। মর্মান্তিক কাণ্ডে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। এদিন তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলও।
কুয়েতের এক বহুতলে বিধ্বংসী আগুন লেগে মৃত্যু হয় ৪৫ জন ভারতীয়-সহ পাকিস্তান, ফিলিপিন্স, মিশর এবং নেপালের নাগরিকদের। বুধবার ভোরে কুয়েতের মাঙ্গাস এলাকায় একটি আবাসনে বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। ওই বহু তলে ১৯৫ জন শ্রমিক ছিলেন। রান্নাঘর থেকে আগুন লাগে তারপরে সেই আগুন গোটা ঘরের ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন- unique initiative: অভূতপূর্ব! প্রকৃতি বাঁচাতে নজিরবিহীন এক কর্মযজ্ঞ, শিক্ষকদের সঙ্গে সামিল খুদে পড়ুয়ারা!
এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪৫ জন ভারতীয় শ্রমিকের। তাদের মধ্যে ২৩ জন কেরলের বাসিন্দা, ৭ জন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, হরিয়ানা, ঝাড়খন্ড কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাবের একজন করে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।