বারুদের স্তূপে জগদ্দল! শনিবার রাতের পর রবিবার সকালে পুলিশি টহলদারির সময়েও মুহুর্মূহু বোমাবাজি উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকায়। ঘিঞ্জি গলির একাধিক জায়গায় বোমা পড়ে থাকার অনুমান। বোমার খোঁজে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি পুলিশের।
জগদ্দল-ভাটপাড়ার অশান্তির শেষ কবে? উত্তরটা অধরাই থেকে যাচ্ছে। শনিবার রাতে জগদ্দলে একটি বিয়েবাড়িতে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করায় স্থানীয়দের সঙ্গে বিয়েবাড়ির লোকজনদের গন্ডগোল বাধে। মুহূর্তে ছড়ায় সংঘর্ষ। এক যুবকের গলায় রড ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়ে যায়। বোমার আঘাতে চারজন জখম হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক যুবক ভর্তি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে, গতকাল রাত সাড়ে ১২ নাগাদ ওই বোমাবাজির ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করেছে। রবিবার সকাল থেকে জগদ্দলের ওই এলাকায় ফের বোমার খোঁজে তল্লাশি অভিযানে যায় পুলিশ। এলাকার অলি-গলিতে শুরু হয় তল্লাশি। পুলিশি টহলদারির সময়েও পরপর বিস্ফোরণ ঘটে। আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন- কেষ্টহীন বীরভূমে পঞ্চায়েতের লড়াই, বিরাট ছক সাজিয়ে মাঠে নামছে জোড়াফুল
বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে জগদ্দলের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। ঝোপ-ঝাড়ে বোমা পড়ে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশ কর্তাদের। সেই কারণে এলাকার প্রতিটি ঝোপ-ঝাড়েও বোমার খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চলে। রবিবার সকালে মজুত বোমা ফেটেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে অনুমান পুলিশের। তল্লাশি চালিয়ে এদিন আরও দুটো কৌটো বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এদিকে, গতকাল রাতে যে বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল, সেই বাড়ির মালিক পলাতক। তার খোঁজেও তল্লাশি চলছে। বোমাবাজির ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত, সেব্যাপারে ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ওই এলাকায় আরও বোমা মজুত থাকতে পারে বলে অনুমান স্থানীয়দের একাংশের। পুলিশকে বোমা উদ্ধারে আরও বেশি সক্রিয ভূমিকা নিতে আবেদন বাসিন্দাদের।