/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/09/cv-ananda-bose.jpg)
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
বিল আটকে থাকা নিয়ে বুধবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ খারিজ করল রাজভবন। রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন যে রাজভবন গত ১২ বছরে ২২টি বিল আটকে রেখেছে। তাঁর সেই মন্তব্যের পরই, বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অফিসারদের নিয়ে রাজভবনে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। রাজ্য সরকারের পাঠানো কোন বিল কোথায়, কেন আটকে আছে, তার বিস্তারিত খোঁজ নেন। তাতে যা রিপোর্ট উঠে এসেছে, তার ভিত্তিতেই বুধবার রাজভবন জানিয়েছে, নবান্নের পাঠানো কোনও বিল রাজভবনে আটকে নেই।
প্রশ্ন হল, তাহলে বিলগুলো গেল কোথায়? তারও সন্ধান দিয়েছে রাজভবন। তাতে বলা হয়েছে, যে ২২টি বিলের কথা বলা হচ্ছে, তার মধ্যে ১২টি বিলের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আর, তা পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। ১৩ নম্বর বিলে রাষ্ট্রপতি শর্তসাপেক্ষে স্বাক্ষর করেছেন। পাশাপাশি, রাষ্ট্রপতির কাছে দু’টি বিল বিবেচনাধীন হয়ে পড়ে আছে। তাছাড়াও আছে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সাতটি বিল। যা বর্তমানে বিচারাধীন।
এই বিলগুলোর অগ্রগতি ঘটাতে কী করা যায়, তা-ও জানিয়েছে রাজভবন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে সব বিলের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, তাতে গতি আনতে, 'সিম্পলিফায়েড প্রোগ্রাম অব আরলি অ্যান্ড এফেকটিভ ডিসপোজাল' (SPEED) নামে একটি উদ্যোগ রাজ্যপাল নিয়েছেন। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে যে বিল যে দফতরের, সেই দফতরের মন্ত্রী বা সচিবের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে রাজ্যপাল তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন- অনুপমের সভামঞ্চ ভাঙল বিজেপিরই একাংশ! গোষ্ঠী কোন্দলে তোলপাড় বঙ্গ-পদ্ম, মজা নিচ্ছে তৃণমূল
এর আগে রাজভবনের বিরুদ্ধে বারবার বিল আটকে রাখার অভিযোগ করেছে রাজ্য সরকার। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাতেই সিলমোহর দিয়েছে। যেহেতু বিধানসভা স্পিকার চালান, তাই তাঁর অভিযোগের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। স্বভাবতই স্পিকারের অভিযোগের পর রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে রাজভবন। আর, তারপরই এল বিলগুলোর বর্তমান স্ট্যাটাস জানিয়ে রাজভবনের বার্তা। যা বিল আটকে রাখা ইস্যুতে রাজ্য সরকার এবং রাজভবনের মধ্যে সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করল।