মাটি খুঁড়তেই বেরোল বিষ্ণু এবং হনুমানের মূর্তি। আর এই মূর্তি নিয়েই গ্রামে শুরু পুজো-পাঠ। লোকমুখে মাটি খুঁড়ে বিষ্ণু-হনুমানের মূর্তি মেলার খবর ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার সকালে মালদহের গাজোলের ভালো গ্রামে বিষ্ণু-হনুমানের মূর্তি দেখতে রীতমতো ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে গ্রামে যায় পুলিশ। তবে মূর্তি দুটি উদ্ধারে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকর্মীদের।
শনিবার সকালে গাজোলের শাহজাদপুর পঞ্চায়েতের ভালো গ্রামে মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল। ঠিক সেই সময়ে বিষ্ণু এবং হনুমানের মূর্তি দু'টি উদ্ধার করা হয়। মাটি খুঁড়ে মূর্তি মেলার খবর মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ধারের পর মূর্তি দুটি গ্রামেরই একটি গাছের নীচে রেখে আলতা, সিঁদুর এবং ধূপ-ধুনো দিয়ে শুরু হয়ে যায় পুজো-পাঠ।
আরও পড়ুন- অবশেষে খোঁজ গোপাল দলপতির, হৈমন্তী-কুন্তলকে নিয়ে তোলপাড় ফেলা দাবি
ততক্ষণে মূর্তি উদ্ধারের খবর পেয়েছে পুলিশও। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি মূর্তিই উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। তবে পুলিশকে ঘিরে একপ্রকার বিক্ষোভ শুরু করে দেন বাসিন্দারা। তাঁরা ওই দুটি মূর্তিই গ্রামে রেখে দিতে চাইছিলেন। পুলিশ বিষ্ণুমূর্তি এবং হনুমান মূর্তি দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এমনকী বহু গ্রামবাসী এদিন কান্নাকাটিও জুড়ে দেন। যদিও দীর্ঘক্ষণ ধরে পুলিশ ও গ্রামবাসীদের কথাবার্তা চলতে থাকে। অবশেষে দুটি মূর্তি উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতত্ত্ব বিভাগকে দিয়ে ওই মূর্তির পরীক্ষা করানো হবে। মূর্তি দুটি ঠিক কত দিনের পুরনো সেই সম্পর্কে একটি ধারণা মিলবে। ইতিমধ্যেই পুরাতত্ত্ব বিভাগকে এই দুটি মূর্তি উদ্ধারের বিষয়ে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আপাতত মূর্তি দুটি মালদহ মিউজিয়ামে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।