টানা চারদিনে পড়ল কুড়মি সমাজের বিক্ষোভ। কুড়মি জাতিকে তফসিলি জনজাতিভুক্ত করার দাবি-সহ একাধিক দাবিতে চলছে আন্দোলন-বিক্ষোভ। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে রেললাইন-রাস্তা আটকে চলছে লাগাতার বিক্ষোভ। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ উঠবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুড়মি নেতারা। দফায়-দফায় আন্দোলনেও সমস্যা মেটেনি। এদিকে, একটানা বিক্ষোভের জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে যাত্রীরা। ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন ট্রাক চালক-সহ অন্য গাড়িচালকরাও।
গত মঙ্গলবার থেকে একটানা বিক্ষোভ চলছে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায়। লাগাতার রেল অবরোধ পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশন-সহ একাধিক এলাকায়। কুড়মি সমাজকে তফসিলি জনজাতিভুক্ত করা ও কুড়মালি ভাষাকে ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফসিলির আওতাভুক্ত করার দাবিতেই এই বিক্ষোভ চলছে। রেললাইনের পাশাপাশি খেমাশুলিতে জাতীয় সড়কেও টানা অবরোধ জারি।
লাগাতার এই বিক্ষোভের জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ। জাতীয় সড়কে সারি দিয়ে আটকে রয়েছে লরি, ট্রাক-সহ বিভিন্ন যানবাহন। একটানা কয়েকদিন ধরে অবরোধে আটকে থাকায় চূড়ান্ত সমস্যা পড়েছেন ট্রাকচালকেরা। জল, খাবারের সমস্যায় অনেকেই অসুস্থ হতে শুরু করেছেন বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্য, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ
কুড়মিদের বিক্ষোভ-অবরোধ তুলতে একাধিকবার প্রশাসনের কর্তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, তবে মেলেনি কোনও সমাধান। লাগাতার এই বিক্ষোভের জেরে গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। অনেক ট্রেনের রুট ঘুরিয়ে দেওয়াও হয়েছে।
এদিকে, আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছেন তফসিলি জনজাতির অন্তর্ভুক্ত না করা পর্যন্ত গুলি করলেও তাঁরা রেল ও সড়ক অবরোধ তুলবেন না। পুলিশ গুলি চালালেও আন্দোলন থেকে তাঁরা একচুলও সরবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন।