ঝোপে লুকিয়েও হল না শেষ রক্ষা। পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের কাছ থেকে মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃতের বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটায়। ধৃত অমিত পণ্ডিত নামে ওই দুষ্কৃতীকে আদালতে তুলে হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাবে পুলিশ। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার ঝালদাতেও কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুরবোর্ড গঠনের আগে পানহাটিতে শুটআউট। রবিবার ভর সন্ধেয় দুষ্কৃতীর গুলিতে নিহত হন পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা পানিহাটিতে।
রবিবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ তেঁতুলতলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পোষ্যের ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। সেই সময় বাইকে করে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতী। অনুপমের মাথায় ও ঘাড়ে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন অনুপম।
আরও পড়ুন- রাজ্যের দুই শহরে প্রকাশ্যে চলল গুলি, নিহত দুই কাউন্সিলর
স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ফের অনুপম দত্তকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এদিকে এই ঘটনার পরেই গোটা পানিহাটি জুড়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এলাকায় ঢোকা ও বেরনোর সব পথে চলে তল্লাশি। শেষমেশ আগরপাড়ায় একটি ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা দুষ্কৃতী অমিত পণ্ডিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত অমিতই তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করেছে বলে দাবি পুলিশের।
অন্য়দিকে, রবিবার বিকেল পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করেও গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে নিয়ে যাওয়া হয় রাঁচির বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাতেও নিহতের দাদাকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু এবারের পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেছিলেন। কাকার বিরুদ্ধে ঝালদার ২ নং ওয়ার্ডেই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তবে ভোটের লড়াইয়ে কাকার কাছে হেরে যান তিনি। এই খুনের পিছনে পারিবারিক বিবাদ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।