ইনি সীমা বা অঞ্জু নয়। কলকাতার ছেলেকে বিয়ে করতে ওয়াঘা বর্ডার পেরিয়েছেন এই পাক তরুণী। তার প্রেমকাহিনীর আলোচনা এখন সর্বত্র। ৫ বছরের অপেক্ষার অবসান। ওয়াঘা সীমান্ত থেকে জাওয়ারিয়া খানম প্রবেশ করতেই খুশিতে মেতে ওঠেন প্রেমিক সমীর খান এবং তাঁর বাবা।
সীমা হায়দার থেকে শুরু করে অঞ্জু এই দুটি নাম আজ লোকের মুখে মুখে। দুজনেই তাদের দেশ, তাদের পরিচয় এবং তাদের ধর্মকে তাদের ভালোবাসার কাছে বিসর্জন দিয়েছে। পাক তরুণী সীমা হায়দার তার চার সন্তানকে নিয়ে অবৈধভাবে ভারতে এসেছেন নয়ডার শচীন মীনার সঙ্গে জীবন কাটাতে। অন্যদিকে রাজস্থানের অঞ্জু তার স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে পাকিস্তানে গিয়ে তার প্রেমিক নাসরুল্লাহকে বিয়ে করে এবং সেখানে যাওয়ার পর সে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং এখন তিনি ফাতিমা নাসরুল্লাহ নামে পরিচিত।
এই দুজনের প্রেমের গল্পের মাঝেই এখন সামনে এসেছে নতুন এক ভালবাসার কাহিনী। আসলে প্রেমের টানে যে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করা সম্ভব। তার আরও এক জলজ্যান্ত প্রমাণ এখন সকলের সামনে। কলকাতার ছেলেকে বিয়ে করতে পাকিস্তান থেকে ছুটে এলেন প্রেমিকা। তবে তরুণী তার জন্য তার ধর্ম ত্যাগ করেনি বা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেননি।
জাওয়ারিয়া ওয়াঘা বর্ডার অমৃতসর হয়ে ভারতে এসে কলকাতায় ছুটে যান তার প্রেমিকের কাছে। এই পাক সুন্দরীর নাম জাওয়ারিয়া। যিনি পাকিস্তানের করাচি শহরের বাসিন্দা এবং অমৃতসরের ওয়াঘা বর্ডার হয়ে পেরিয়ে প্রেমের টানে ভারতে আসেন। ফুলের তোড়া দিয়ে প্রেমিকাকে স্বাগত জানান প্রেমিক সমীর খান। গত পাঁচ বছর ধরে প্রেম করছেন জাওয়ারিয়া।
জানা গিয়েছে গত পাঁচ বছর ধরে কলকাতার বাসিন্দা সমীর খানের সঙ্গে প্রেম করছেন জাওয়ারিয়া। দুজনের এই সম্পর্কে দুই পরিবারের তরফে কোন আপত্তি ছিল না প্রথম থেকেই। ভারতে এসে তাকে তার প্রিয়জনকে ছুঁয়ে দেখতে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান জাওয়ারিয়া।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, জাওয়ারিয়ার ভিসা একবার নয়, দুবার বাতিল হয়। যার কারণে তার এবং সমীরের বিয়ে আটকে যায়। এবার তিনি ভিসা পেয়ে ভারতে এসেছেন বিয়ের জন্য। ভারতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভারত সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। আগামী বছর ৬ জানুয়ারি দুজনের বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। যাতে সমীরের পুরো পরিবার উপস্থিত থাকবেন।
ভারত সরকার জাভেরিয়াকে ৪৫ দিনের ভিসা দিয়েছে। বিয়ের পরে তিনি তার ভিসার মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন করবেন বলেই জানিয়েছে এই পাক তরুণী।