ব্রিগেডে 'লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ'-এর মঞ্চে গীতাপাঠের আগেই বাজবে কাজি নজরুল ইসলামের গান। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দ্বারকামঠের শংকরাচার্য স্বামী সদানন্দ সরস্বতীকে। গোটা অনুষ্ঠানের সূচনা হবে একটি শোভাযাত্রার মাধ্যমে। সেই শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ হল, মহাভারতের যুদ্ধস্থল কুরুক্ষেত্রের মাটি। এই শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে দ্বারকাপীঠের শংকরাচার্য যখন মঞ্চে উঠবেন, সেই সময় গাওয়া হবে কাজি নজরুল ইসলামের গান। সেই গানটি হল, 'হে পার্থসারথি!…ভীতজনে কর হে নিঃশঙ্ক।' এই গানের সঙ্গেই বাজবে ৬০ হাজার শঙ্খ।
উদ্যোক্তাদের তরফে ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ গীতাপাঠের কর্মসূচিতে নজরুলের গান প্রসঙ্গে মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'এই অনুষ্ঠান ধর্ম, মতামত নির্বিশেষে সবার জন্য। নজরুল ইসলামের গান বাংলার মন্দিরগুলোয় গাওয়া হয়। এ তো নতুন কিছু না।' শুধু অনুষ্ঠানের দিনই নয়, 'লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ কর্মসূচি'র প্রচারেও নজরুলের লেখা ব্যবহার হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানে গীতার মোট পাঁচটি অধ্যায় পাঠ করা হবে। পুরুষরা ধুতি ও পঞ্জাবি, আর মহিলারা শাড়ি পরে যোগদান করবেন। প্রত্যেকের বসার জন্য আসন থাকবে।
উদ্যোক্তাদের তরফে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেছেন গীতাপাঠ কর্মসূচির আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী। তিনি বলেন, 'আমাদের এটা এক অরাজনৈতিক কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রী আসতে রাজি হয়েছেন। নিজেই সকলের সঙ্গে গীতাপাঠ করতে চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।' একইসঙ্গে অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দেখা করার সময় চাওয়া হয়েছে। তিনি এখনও সময় দেননি। সময় দিলে সাধু-সন্তরা গিয়ে তাঁকে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে আসবেন। অনুষ্ঠানের দিনই আয়োজন করা হয়েছে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার। এই ব্যাপারে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ওই দিন টেট পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল না। আগে কর্মসূচি ঘোষণা হয়েছে। টেট পরীক্ষার দিন পরে জানানো হয়েছে। ওই দিন টেট পরীক্ষা হলে সমস্যা হতে পারে। তাই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন- সংসদে স্মোক ক্যান হামলা: মাস্টারমাইন্ড ললিতের সঙ্গে তৃণমূল যোগ! চাঞ্চল্যকর দাবি সুকান্তর
উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার এই 'লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ' কর্মসূচির ভূমিপূজন অনুষ্ঠান হবে। শুরু হবে মঞ্চ বাঁধার কাজ। ইতিমধ্যেই পুরীর মন্দিরের ধ্বজ কলকাতায় চলে এসেছে। তা ওই অনুষ্ঠানের স্থল ব্রিগেডে স্থাপন করা হবে। দুটো আলাদা মঞ্চ তৈরি হবে। তার মধ্যে একটি মঞ্চ তৈরি হবে সাংস্কৃতিক কর্মসূচির জন্য। অন্য মঞ্চটি বানানো হবে অতিথিদের জন্য। উদ্যোক্তারা যার নাম দিয়েছেন পার্থসারথি মঞ্চ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, দ্বারকাপীঠের শংকরাচার্য সদানন্দ সরস্বতী-সহ অন্যান্যরা বসবেন। মুখ্যমন্ত্রী আসতে রাজি হলে, তিনিও থাকবেন ওই মঞ্চেই।