Maximum countries’ flags painted on a fingernail: রং আর তুলির সমন্বয়ে ক্যানভাসে একের পর আঁকা তাক লাগিয়েছে সকলকে। এবার জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় ‘নজিরবিহীন সাফল্য’ বঙ্গ তনয়ার! ইচ্ছে থাকলে সবকিছুই সম্ভব তা প্রমাণ করে দেখালেন কাটোয়ার শ্রেয়া চক্রবর্তী।
আঙুলের নখই তাঁর কাছে আস্ত ক্যানভাস। আর সেই নখের উপরেই একের পর এক ৪৫ দেশের পতাকা এঁকে নজির গড়লেন কাটোয়ার তরুণী। ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড’-এ নাম তুলে শোরগোল ফেলে দিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ পাঠরতা শ্রেয়া চক্রবর্তী। পাশাপাশি এক মিনিট ২৮ সেকেণ্ডে ১০টি যোগব্যায়ামেও ছিনিয়ে নিয়েছেন 'সেরার সেরা শিরোপা'! ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড’সে দুটি বিভাগে নাম ওঠায় বাঁধভাঙ্গা খুশিই যেন ধরা পড়েছে শ্রেয়ার চোখে-মুখে।
এমন সৃজনশীলতা তাক লাগাতে বাধ্য। বরাবরই আঁকার প্রতি ঝোঁক শ্রেয়ার। আর সেই সৃজনশীলতার জেরেই জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সাফল্য ছিনিয়ে নিয়ে বিরাট চমক দিয়েছেন তিনি। কাটোয়া শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা শ্রেয়া। গ্লাস পেন্টিং, পোট্রেট পেন্টিং তার নেশা। সেই নেশাকে সঙ্গী করেই যেন 'যুদ্ধজয়'। হাতের আঙুলে এশিয়া মহাদেশের একের পর এক ৪৫ দেশের জাতীয় পতাকা এঁকে গড়লেন রেকর্ড। ছিনিয়ে নিলেন জয়ের মুকুট।
কাটোয়া ১ নং ব্লকের সুদপুর পঞ্চায়েতের মোস্তাফাপুরের অমর চক্রবর্তী স্ত্রী ইলা, মেয়ে শ্রেয়া ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকেন কাটোয়া শহরে। পড়াশুনার পাশাপাশি যোগব্যায়াম ও আঁকার প্রতি শ্রেয়ার ছোট থেকে নেশা। ফেব্রিক দিয়ে একের পর এক চোখ ধাঁধানো সৃষ্টি সকলকে অবাক করতে বাধ্য। আর সেই ফেব্রিক দিয়েই আঙ্গুলের নখে একের পর এক ৪৫ দেশের জাতীয় পতাকা এঁকে নজির গড়েছেন তিনি। জিতে নিয়েছেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের খেতাব। শ্রেয়া বলেন, 'ছোট থেকে কিছু করার ইচ্ছা ছিল। আঁকা আমার অন্যতম ভালবাসা। সেই আঁকাকে সম্বল করেই ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের খেতাব জিতে বেশ ভালোই লাগছে। পাশাপাশি যোগব্যায়ামেও রেকর্ড গড়েছি। ভবিষ্যতে এমন আরও রেকর্ড গড়তে চাই'।
আরও পড়ুন : < Ratan Tata: মানবিকতার অনন্য নজির! সাত মাসের কুকুর ছানার রক্তের দরকার, সাহায্য চাইলেন রতন টাটা >
মেয়ের সাফল্যে গর্বে বুক ভরে গিয়েছে মা-বাবার। বাবা অমরবাবু পেশায় শিক্ষক। তিনি জানিয়েছেন, শান্ত স্বভাবের শ্রেয়া ছোট থেকে আঁকতে ভালবাসে। যোগব্যায়ামের প্রতিও ওর বিরাট আগ্রহ। দুটি বিভাগেই ও ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের খেতাব জিতেছে। মেয়ের সাফল্যে আমরা খুশি। বাবা হিসাবে ওর আরও সাফল্য কামনা করি।