Success Story: ইস্ত্রি চালিয়ে সার্থক বাবার সংগ্রাম, ছেলের CA পাশে মুখ উজ্জ্বল সারা বাংলার
সফল হল বাবার ২৫ বছরের হাড়ভাঙা পরিশ্রম। ইস্ত্রি করে ছেলেকে মানুষ করতে চেয়েছিলেন তিনি। অবশেষে বাবার স্বপ্ন পূরণ। ছেলে সিএ পাশ করে বাড়ি ফিরতেই গর্বে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন বাবা। চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। বাবাকে এমন সারপ্রাইজ দিতে পেরে খুশি ছেলে আমান কুমারও।
সার্থক হল বাবার হাড়ভাঙ্গা সংগ্রাম, ছেলের সাফল্যে গর্বে চোখে জল। তিনি কলকাতার এক শ্রমজীবী মানুষ। ২৫ বছর ধরে ইস্ত্রি করে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। অবশেষ সিএ পাস করে সকলকে চমকে দিলেন রাজকিশোরের ছেলে আমন কুমার।
Advertisment
সফল হল বাবার ২৫ বছরের হাড়ভাঙা পরিশ্রম। ইস্ত্রি করে ছেলেকে মানুষ করতে চেয়েছিলেন তিনি। অবশেষে বাবার স্বপ্ন পূরণ। ছেলে সিএ পাশ করে বাড়ি ফিরতেই গর্বে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন বাবা। চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। বাবাকে এমন সারপ্রাইজ দিতে পেরে খুশি ছেলে আমান কুমারও।
জীবনের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা C.A উত্তীর্ণ কলকাতার এক ধোপার ছেলে। বাবাকে সেই সংবাদ দেওয়া মাত্রই ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। মা অঞ্জুদেবীই ছেলের এমন কৃতিত্বে বাকরুদ্ধ। ইতিমধ্যেই আমন কুমার পেয়েছেন একাধিক নামী সংস্থায় মোটা বেতনের চাকরির সুযোগ।
প্রত্যেক বাবা-মায়ের স্বপ্ন থাকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে। সন্তানকে মানুষ করতে জীবনের সবকিছুকে উপেক্ষা করতে একবারের জন্যও চিন্তা করেন না মা-বাবা। তবে প্রতিটি সন্তানের সাফল্য মা-বাবার সাফল্য। তাদের খুশি বাবা-মায়ের খুশি।
২৫ বছর ধরে এক কামরার এক বাড়িতে দিন গুজরান কসবার রাজকিশোর রজক। বালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে এক বহুতলের পার্কিং লটে করেন ইস্ত্রি। তা দিয়েই চলে চারজনের সংসার। ছেলে আমান ছোট থেকে পড়াশুনায় তুখোড়। বাবার শখ ছিল ছেলে এমন কিছু করুক যা সবাইকে চমকে দিতে বাধ্য করবে।
অবশেষে বাবার স্বপ্নপূরণ করল ছেলে। সিএ পরীক্ষায় পাস করে বাবাকে দিলেন বিরাট চমক। সাফল্য প্রসঙ্গে আমন জানিয়েছেন, "বাবাকে ছোট থেকে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে দেখেছি। পরিবারের জন্য প্রাণপাত করেছেন তিনি। ধুম জ্বর নিয়েও সারাটা দিন ইস্ত্রি করেছেন নাগাড়ে। কারণ ইস্ত্রি করা বন্ধ হলে আমার পড়াটাও বন্ধ হয়ে যাবে। আজ বাবাকে এমন উপহার দিতে পেরে আমি খুশি"।
ছেলের সাফল্যের বিষয়ে বলতে গিয়ে গলা ধরে এল রাজকিশোর বাবুর। অনাবিল এক আনন্দ ধরা পড়ল চোখে মুখে। গর্বের সঙ্গে জানালেন, "আমি জানতাম আমন পারবে। ও করে দেখিয়েছে। আমার স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমি খুব খুশি। আমি সেভাবে পড়াশুনা জানিনা। ওকে মানুষ করার জন্য আমার লড়াই জারি ছিল, আছে থাকবে। ও আমার গর্ব"। মেয়েও ইতিমধ্যে গ্রাজুয়েশন সম্পুর্ণ করে সরকারি চাকরির ট্রেনিং নিচ্ছেন। রাজকিশোর আশাবাদী ছেলের মত মেয়েও একদিন সাফল হবেই।