ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদার চাঁচল মহকুমা। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। আর এই পরিস্থিতিতে অনেক বুথ থেকে নিরাপত্তার অভাব বোধ করে সরে গিয়েছেন অফিসার থেকে ভোটকর্মীরা। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যেও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার যেখানে রক্ষিত হয়েছে, সেই ব্যালট বাক্স লুঠ করতে দেননি চাঁচল থানার খরবা পঞ্চায়েতের গোপালপুর ও দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং তৃণমূল কর্মীরা।
Advertisment
শনিবার সংশ্লিষ্ট গ্রামের ১৯৬ নম্বর বুথের ভোটদানপর্ব দুপুরের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। আর তারপরেই সেখানে শাসক-বিরোধী গোলমালের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এই পরিস্থিতিতে ব্যালট বাক্স যাতে লুঠ না-হয়, তার জন্য স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাই সেই ভোট সম্পন্ন হওয়া ব্যালট বাক্স বাইকে চাপিয়ে সটান থানায় নিয়ে এনে জমা দিলেন কর্তব্যরত চাঁচল থানার পুলিশ আধিকারিকদের কাছে।
স্থানীয় তৃণমূলের একাংশ কর্মীদের বক্তব্য, খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর-দুর্গাপুর গ্রামের ১৯৬ নম্বর বুথের ভোটদান পর্ব দুপুরের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। তারপরে সেখানে গোলমাল শুরু করে কংগ্রেস এবং সিপিএম জোটের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাদের সঙ্গে এই গোলমালে বিজেপির স্থানীয় কর্মীরা শামিল হন বলে অভিযোগ। নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় ভোটকর্মীরা বুথ থেকে সরে পড়েন।
সেই পরিস্থিতিতে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা গোলমাল থামানোর চেষ্টা করেন। তখনই ফাঁকা হয়ে যায় ওই নির্বাচন কেন্দ্র। সেই সময় ব্যালট বাক্স লুঠের চেষ্টা চালিয়েছিল হামলাকারীরা। তখনই তিনটি ব্যালট বাক্স উদ্ধার করে চাঁচল থানায় নিয়ে এনে জমা দেন তৃণমূল কর্মীরা।
যদিও তৃণমূলের এই দাবিকে ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্র বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ইশা খান চৌধুরী । তিনি বলেন, 'এসব তৃণমূলের বানানো গল্প। ওরাই ওই বুথ থেকে ব্যালট বাক্স লুঠ করে ছাপ্পা দেওয়ার পর পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে।' এব্যাপারে তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব।