পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ, ফের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল রাজ্যে। এরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা টানলেন বিরোধী দলনেতা। এমনকী দাবি করলেন যে, রাশিয়ার আগ্রাসনে ইউক্রেনে চেয়ে এ রাজ্যে বিস্ফোরণের সংখ্যা বেশি।
বজবজ বিস্ফোরণের পরই রবিবার গভীর রাতে টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, '২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। আমি মনে করি কেউ যদি হিসাব এবং তুলনা করেন, তাহলে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে যত বিস্ফোরণ হয়েছে- তার থেকে বেশি বিস্ফোরণ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।'
এগরারর পর বজবজের চিংড়িপোতা গ্রামের বিস্ফোরণেও ঘটনায় এদিন এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের দাবি, টুইটে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ট্যাগ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন- গ্রেফতারির আশঙ্কা অভিষেকের! রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূলের ‘যুবরাজ’
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা টানার পাশাপাশি শুভেন্দু লিখেছেন, 'পোড়া মাংসের গন্ধ এবং বিস্ফোরণের চিহ্ন এখনও রয়েছে এগরার গ্রামে। আহতেরা এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায়। এর মধ্যেই বজবজের গ্রামে ঘটল বিস্ফোরণের ঘটনা। এখনও অবধি ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বার বার এ কথা শুনতে লাগলেও, এই ঘটনাতেও এনআইএ তদন্ত দরকার।'
পাশাপাশি তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দু লিখেছেন, 'মমতা সরকার কখন জাগবে? পোড়া মাংসের গন্ধ কবে নাকে যাবে? আর কত জনের মৃত্যু প্রয়োজন হবে?' পুলিশের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
রবিবার সন্ধ্যায় বজবজের চিংড়িপোতা গ্রামে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এর পরই ওই অঞ্চলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। গ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ বাজি ওই গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়। বজবজ থানাতে ডাই করে রাখা হয়েছে বাজেয়াপ্ত ওই বাজি ও বাজি তৈরির মশলা। খোলা অবস্থায় আছে বারুদের ড্রাম। আলোকবাজির সঙ্গেই রয়েছে শব্দবাজি, চকলেট বোম। স্থানীয়দের দাবি, ওই এলাকার অধিকাংশ বাড়িতেই বাজি কারখানা রয়েছে। এবং সেগুলোর বেশিরভাগই বেআইনি। বিস্ফোরণের পর পুলিশি তল্লাশিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সেখানকার বাজি ব্যবসায়ীরা। রুজিরুটিতে টান পড়়লে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। বজবজকাণ্ডের পর ৩৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।