দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করছেন বসু পরিবার। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের এমন ঘটনা সামনে আসতেই অবাক অনেকেই। যখন দাঙ্গা, জাতি বিদ্বেষের নানা সংবাদ আমাদের সমাজকে বিপথে চালিত করে ঠিক তখনই এমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঘটনা মুগ্ধ করেছে সকলকেই। জানা গিয়েছে ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পাকাপাকিভাবে এদেশে এসে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে থাকতে শুরু করেন বসু পরিবার।
যে জমিতে বসত বাড়ি করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন বসু পরিবার, সেখানেই ছিল এক মসজিদ। কী করবেন প্রথমে একটু ভাবনায় পড়ে গিয়েছিলেন, পরে সেই মসজিদের যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন বসু পরিবার। বসু পরিবারের বর্তমান কর্মকর্তা দীপক বোস মসজিদের দেখাশোনার কৃতিত্ব তার মাকে দিয়েছেন। তিনি জানান “ আমার বাবা মা খুবই উদার প্রকৃতির মানুষ ছিলেন, তাঁরা বিশ্বাস করতেন মন্দির অথবা মসজিদ, দুটোই ঈশ্বরের স্থান, দুটিকেই সম্মান করা উচিত”।
বসু পরিবারের অপর এক সন্তান পার্থ বোস দাবি করেছেন যে ‘শুধু তারাই নয়, ভবিষ্যত প্রজন্মও মসজিদটির যত্ন নেবে ভালোভাবেই’। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার দাদা এবং আমার বাবার পরে, আমাদের প্রজন্ম মসজিদের যত্ন নিচ্ছে, আমরা এটা দেখে খুশি যে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই মসজিদের যত্ন নিতে এগিয়ে আসতে আগ্রহী। আমার মেয়ে আমাকে বলে যে মসজিদের জন্য সে যা করা দরকার তাই করবে’।
মসজিদের ইমাম আখতার আলী দাবি করেন, ‘মূল মসজিদটি প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। তাঁর কথায়, বসু পরিবারের আগে এই মসজিদ জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। বসু পরিবার জমিটি কিনে নেওয়ার পর থেকে মসজিদ পুনর্নির্মাণ থেকে যাবতীয় কাজ করে চলেছেন দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে’।