এ বছরের টেট পরীক্ষা হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর। বুধবারই এই দিন ঘোষণা করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। বুধবারই পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পর্ষদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। কারা এ বছর টেট পরীক্ষার যোগ্য? সাংবাদিক বৈঠকে তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।
টেটের ফর্মপূরণ-
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, টেটের দিন ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি বৃহস্পতিবার সকালে খবরের কাগজগুলিতে প্রকাশিত হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে পর্ষদের ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা টেটের ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।
টেট পরীক্ষায় বসতে কারা যোগ্য?
পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, বিএড যাঁরা করেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এ বছর টেটে বসতে পারবেন না। কিন্তু ডিএলএড সহ প্রাথমিক শিক্ষকের অন্য প্রশিক্ষণ যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা চলতি বছর টেট দিতে পারবেন। গত বছরের টেটে যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছিলেন, তাঁরাও এ বছর ফর্ম পূরণ করে পরীক্ষা দিতে পারবেন।
কোন নিয়মে পরীক্ষা?
পরীক্ষা ও নিয়োগ পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা আনতে জোর দিয়েছিলেন গৌতমবাবু। সেইমতো গত বছরের টেটে একাধিক নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছিল। এদিন গৌতম পাল জানিয়েছেন, আগের বছরের নিয়মেই এবার টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের একটা সিল করা খাম দেওয়া হবে যার মধ্যেই থাকবে প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর শিট। পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মূল ওএমআর শিটের নীচে একটি ডুপ্লিকেট শিট থাকবে। মূল ওএমআর শিটে উত্তর মার্ক করলে যার ছাপ পড়বে ডুপ্লিকেট শিটেও। ওই শিটটিও বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই ভিডিও রেকর্ডিং-এর ব্যবস্থা থাকবে।
গত বছর টেট পরীক্ষা হয়েছিল ১১ ডিসেম্বর। পাঁচ বছর পর ওই পরীক্ষা হয়েছিল। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যরা ওই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শাসক দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক। ইতিমধ্যেই জেলবন্দি তারা। এরপর গত বছরের টেট পরীক্ষা নিয়ে তাই সরগরম ছিল রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে দায়িত্বে এসেই গৌতম পাল জানিয়েছিলেন, এবার থেকে প্রতিবছর টেট হবে। ঠিক এক বছর পর ফের ঘোষণা করা হল টেট পরীক্ষার দিন।