মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাত্রাপথে 'গালিগালাজ' দেওয়ায় ও 'উল্টোপাল্টা' কথা বলায় গ্রেফতার তিন জন। শনিবার চন্দ্রকোণায় পদযাত্রায় আসার পথে তাঁর গাড়ির সামনে কয়েকজন ‘গালিগালাজ’ দেন ও ‘উল্টোপাল্টা কথা’ বলেন বলে অভিযোগ করেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন মমতা। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মমতার দাবির সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বিজেপি।
শনিবার চন্দ্রকোণায় মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাত্রাপথে 'জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেয় গ্রামবাসীরা'। এরপর মুখ্যমন্ত্রী সেখানেই গাড়ি থেকে নেমে যান এবং চিৎকার করতে থাকেন। এই ধ্বনি যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন। এমনই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। 'জয় শ্রীরাম ধ্বনি' দেওয়ায় তিন জনকে গ্রেফতার করায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রয়োজনে প্রতিবাদে রাস্তায় নামবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে দুটি সংগঠনই।
Why is DIDI so upset with chants of JAI SHRI RAM & why does she call it "GALAGALI"? pic.twitter.com/dTrBqrS6Oo
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) May 4, 2019
আরও পড়ুন- ভারতী ঘোষের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিতে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্ব ক্ষেত্রের সম্পাদক (সংগঠন) শচীন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, "ভারতবর্ষে শ্রীরামচন্দ্র রাষ্ট্রীয় মহাপুরুষ। 'জয় শ্রীরাম' এখন দেশাত্মবোধক স্লোগান। এটা দেশ ভক্তির প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রীর এটা (গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া) উচিত হয়নি। এটা অবমাননাকর। 'জয় শ্রীরাম' জনপ্রিয় স্লোগান, বিজেপির স্লোগান নয়। গ্রেফতার করা অন্যায় হয়েছে। লজ্জার বিষয়"। বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকার বলেন, "জয় শ্রীরাম বলা কোন অন্যায় নয়। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে ঠিক করেনি সরকার। এই ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামবে"।
প্রসঙ্গত, শনিবার চন্দ্রকোণায় পদযাত্রার শুরুতে মমতা বলেন, ‘‘চন্দ্রকোণা রোড দিয়ে আসছিলাম। কয়েকটা জায়গায় ওঁদের (বিজেপি) কয়েকটা বাঁদর, আমি এখন বাঁদর বলি, কারণ ওরা রাজনীতি করে না, টাকা নিয়ে ঘোরে। গালিগালাজ দিচ্ছে, উল্টোপাল্টা কথা বলছে। দু’দিন পর নির্বাচন হয়ে গেলে এই বাংলাতেই থাকতে হবে। বেশি গরম দেখিও না, শোভা পায় না। রাজনীতিতে লড়াই আপনিও করবেন, আমিও করব। কিন্তু আপনি যদি আমার গাড়ির সামনে গালিগালাজ দেন, আর আমি যদি আমার কর্মীদের বলে দিই, পাল্টা খেলে কী হবে বুঝতে পারছেন তো? আমরা এসব চাই না। আপনাদের অভিধানে ভদ্রতা নেই’’।
Desperate #BJP in #Bengal doing what they do best. Shame on their desperation to put spin on a video and create falsehood. #Bengal has rejected them and they know that. They'll have no place to hide on May 23
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) May 4, 2019
তবে, 'মমতা ভয় পেয়েছেন' বলে গেরুয়া শিবির যতই দাবি করুক, এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দাবি, বিজেপি তাদের চেনা খেলা শুরু করেছে এবং ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর তাদের আর লুকানোর জায়গা থাকবে না।