মুখের বুলি ফোটেনি ঠিক ভাবে তার আগেই ‘সেরার সেরা মুকুট’, খুদে আরাধ্য’র তাক লাগানো সাফল্যে গর্ব হবে। এখনও স্কুলে যাওয়ার বয়স হয়নি তার আগেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নিজের তুলে সকলকে চমকে দিয়েছে মাত্র তিন বছর ২ মাসের আরাধ্য সরকার। 'সুপার কিড' প্রতিযোগিতায় সেরার সেরা হয়ে মাত্র ৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ডেই ৪২ টি দেশের জাতীয় পতাকার নাম বলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে ছোট্ট আরাধ্য।
এই বয়সেই তাক লাগানো প্রতিভায় চমকে ওঠার জোগাড়। ছোট মেয়ের কাহিনীতে গর্ব হবে। বয়স মাত্র তিন বছর ২ মাস! আর এই বয়সেই সহজেই চিনিয়ে দিতে পারে একটি-দুটি নয় পুরো ৪২ টি দেশের জাতীয় পতাকা। তাও মাত্র ৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ডেই। কুর্নিশ আদায় করেছে ছোট আরাধ্য’র এই প্রতিভা।
ইতিমধ্যেই জিতে নিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের খেতাব, ছোট্ট এইটুকু বয়সে আরাধ্য’র বুদ্ধিদীপ্ত মস্তিষ্ক অবাক করেছে সকলকেই। পরিবার থেকে পড়শি সর্বত্রই প্রশংসার ঝড়। সুদীপ্ত ও রিঙ্কুর একমাত্র মেয়ে আরাধ্য। মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা-মা’ও। নদীয়ার এই ‘বিস্ময় শিশুকন্যা’কে ঘিরে এখন রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।
খুদে আরাধ্য’র বাবা সুদীপ্ত সরকার পেশায় ভারতীয় রেলে কর্মরত। মা রিঙ্কু গৃহবধূ। একমাত্র মেয়ের এমন প্রতিভা রীতিমত অবাক করেছে তাদেরও। বাবা সুদীপ্ত বলেন, ‘ওর মনে রাখার ক্ষমতা আমাদের সকলকে অবাক করত। ইউটিউব দেখে নিজের চেষ্টাতেই একের পর এক দেশের জাতীয় পতাকা অবলীলায় বলে দিতে মেয়ে। ও চায় বড় হয়ে ডাক্তার হতে। এই বয়স থেকেই ব্রিটেনে গিয়ে ডাক্তারি পড়ার শখ আরাধ্য’র।
মেয়ের সাফল্যে বেজায় খুশি মা রিঙ্কু দেবীও। তিনি বলেন, ‘এখনকার অনেক মা-বাবাই তাঁদের সন্তানদের ওপর অনেক কিছুই চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, অনেক ক্ষেত্রে যা বাচ্চাদের স্বাভাবিক প্রতিভা ও বিকাশকে নানাভাবে ব্যাহত করতে পারে।বাচ্চাদের তাদের মত করে বড় হতে দিন, ওদের ইচ্ছা আগ্রহের দিকে বাড়তি নজর রাখুন, কারণ প্রতিটি বাচ্চা’ই কিছু কিছু প্রতিভা নিয়েই জন্মায় বাবা-মায়ের কাজ সেই প্রতিভা যাতে বিকশিত হয় সেই দিকটা নিশ্চিত করা।”
তিনি আরও বলেন, “আমি চাই, আমার মেয়ে বড় হয়ে ওর নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করুন, স্বাভাবিক ছন্দেই বেড়ে উঠুক ও! আরাধ্য যেন মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠতে পারে এটা ঈশ্বরের কাছে আমার প্রার্থনা’। আদরের ছোট আরাধ্য নিয়ে এখন খুশির হাওয়া গোটা পরিবারেই। তার সাফল্যে যেন আলাদাই তৃপ্তি দাদু সুকেশ দিদিমা রেবা সরকারের। পিসি সুমিত্রা সরকার বলেন, ‘ইউটিউব দেখে যে ও নিজের চেষ্টায় এতকিছু রপ্ত করেছে তা আমরা প্রথমে বুঝতেও পারিনি। মোবাইলের যেমন একদিকে বাজে দিক রয়েছে তেমনই ভাল দিকও রয়েছে। মোবাইল দেখে আজকাল বাচ্চাদের মধ্যে জ্ঞানের পরিধি অনেকটাই বাড়ছে’।