মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বাম-কংগ্রেস-বিজেপিকে একাসনে বসিয়ে বেনজির আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে ভোটের মুখে দলের বুথস্তরের কর্মীদের চাঙ্গা করতে অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, 'উপনির্বাচনে একটা বুথেও হারলে সেটা হবে মীরজাফরের বুথ।' সাগরদিঘির উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপির যোগসাজশ চলছে বলেও এদিন তোপ দেগেছেন অভিষেক। তাঁর নিশানায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের সাগরদিগি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। কংগ্রেসের প্রার্থীকেই এই কেন্দ্রে সমর্থন করছে বামেরা। বিজেপিও এই কেন্দ্র থেকে লড়াই করছে। তবে নির্বাচনী বিশ্লেষকদের মতে, এবার এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সঙ্গে জোর টক্কর হতে পারে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরও। এদিন নির্বাচনী প্রচারে সাগরদিঘিতে এসে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ অভিষেকের। তিনি এদিন বলেন, 'কংগ্রেসের প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। ভোটে জিতলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপিতে চলে যাবে।'
দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোটের মুখে চাঙ্গা করতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এদিন আরও বলেন, 'একুশের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ সাগরদিঘির উপনির্বাচন। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস এক হয়েছে। কংগ্রেস যদি একটা অঞ্চল থেকেও জেতে তাহলে বিজেপিতে চলে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা। সাগরদিঘিতে ১ লাখের ব্যবধানে জেতাতে হবে। প্রতিটা বুথে জিততে হবে। একটা বুথেও তৃণমূল হারলে, সেটা হবে মীরজাফরের বুথ। মীরজাফারদের হারাতেই হবে।'
আরও পড়ুন- নিশীথের বাড়ি ঘেরাওয়ের প্রতিবাদে হুংকার BJP রাজ্য-জেলা সভাপতির, পাল্টা হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
অভিষেক এদিন তুলোধনা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। তলে-তলে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত রয়েছে কংগ্রেস সাংসদের, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের। অভিষেকের কথায়, 'কেন বাংলার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র? অধীর চৌধুীরকে একবারও কিছু বলতে শোনা যায়নি। অধীর চৌধুরী অমিত শাহের বাহিনী নিয়ে চলছেন কেন? যাঁরা এনআরসি-র কথা বলে তাদের বাহিনী নিয়ে চলছেন অধীর চৌধুরী। এই মীরজাফরকে চিনে রাখুন, হারাতেই হবে। বিজেপির বি টিম হিসেবে কাজ করছে কংগ্রেস। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া।'